ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ইরান-বাংলার সংস্কৃতিতে বিরুনীর ভূমিকা অতুলনীয়

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
ইরান-বাংলার সংস্কৃতিতে বিরুনীর ভূমিকা অতুলনীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ইরান-বাংলাদেশ সংস্কৃতির অগ্রযাত্রায় বিখ্যাত দার্শনিক আল বিরুনীর ভূমিকা অতুলনীয় বলে মূল্যায়ন করেছেন বিশিষ্টজনরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ মূল্যায়ন করেন তারা।  

আল বিরুনীর ৯৬৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী চতুর্থ আল বিরুনী সম্মেলনের আয়োজন করে আবু রায়হান আল বিরুনী ফাউন্ডেশন।

 

সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু ছিল বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, সাংস্কৃতিক ও সমাজবিজ্ঞানীর প্রতীক হিসেবে বিরুনী; ইন্দো-ইরানীয় সম্পর্ক: ইতিহাস সংস্কৃতি, ভাষা, সাহিত্য ও স্থাপত্যে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হামর্দদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আল বিরুনী বিশেষজ্ঞ ড. মজিদ গাজর। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক একে আজাদ খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আল বিরুনী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু মুসা মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ।

ইরানের বিজ্ঞান, গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী আলী আসগর রোস্তামী আবু সাঈদীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্মেলন উপলক্ষে পঠিত প্রবন্ধগুলো ইরান এবং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র এবং শিক্ষকদের অধিকতর গবেষণা করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

উপাচার্য আবদুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশ এবং ইরানের মধ্যে বহুকাল থেকে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। ফারসী ভাষা ও সাহিত্য উন্নয়নে মোগল আমল থেকে ঢাকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে ইরানের দার্শনিকরা বাংলায় বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, ইতিহাস এবং সংস্কৃতিসহ অন্যান্য বিষয় বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আল বিরুনী এদের মধ্যে অন্যতম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এসকেবি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।