ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

ক্যাম্পাস স্থিতিশীল-নিরাপদ রাখতে বিশিষ্টজনদের আহ্বান

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
ক্যাম্পাস স্থিতিশীল-নিরাপদ রাখতে বিশিষ্টজনদের আহ্বান বিশিষ্টজনদের আলোচনা সভা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ক্যাম্পাস স্থিতিশীল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তারা।  

ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মতবিনিময় ও আলোচনা সভার আয়োজন করে কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিচালনাকারী ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।

 

এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে তাদের অভিমত তুলে ধরেন।

ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, কোটা আন্দোলনকে বিএনপি, শিবিরের কর্তৃক পরিচালিত আন্দোলন মনে করে দমনের চেষ্টা করা হলে সেটি ভুল হবে। এটিও সত্য যে এ আন্দোলনে শত্রুপক্ষ ঢুকে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করতে পারে। যার একটি উদাহরণ ঢাবি উপাচার্যের (ভিসি) বাড়িতে আক্রমণ। ভিসিও বলেছেন- আক্রমণকারীরা বহিরাতগত। যাদের আটক করা হয়েছে তারাও বহিরাগত।  

তিনি বলেন, ‘উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর রাষ্ট্র বা কোনো বাহিনী নির্যাতন করলে আমরা বরদাস্ত করবো না। আমরা বুক ফুলিয়ে ক্যাম্পাস চলবো আমরা শিক্ষক-ছাত্র ন্যায়ের পক্ষে।

কোটা নিয়ে এম এম আকাশ বলেন, বিশেষ সুবিধা হবে অল্প লোকদের জন্য তাও অল্প সময়ের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ কোটা প্রথার সংস্কার করতে হবে। মেরিটের (যোগ্যতা) ভিত্তিতে প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এ দাবি ন্যায্য। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও মেধার ভিত্তিতে প্রশাসন গড়ার পেছনে অগ্রসর হয়েছে।

‘শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন যৌক্তিক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি মনে করি মু্ক্তিযোদ্ধারা কোটার জন্য যুদ্ধ করেননি। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা অস্বচ্ছল তাদের জন্য কোটা সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। সেটি এক জেনারেশন জন্য হতে পারে। একবার সুযোগ নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া যাবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে আন্দোলনের একটি ধাপ পার হয়েছে। আন্দোলনে যারা নির্যাতিত হয়েছেন তাদের বিষয়েও ভাবতে হবে।  

‘ক্যাম্পাসে এখনো শিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপত্তাহীনতা কাজ করছে। যৌক্তিক আন্দোলনে অংশ নিয়ে কেন শিক্ষার্থীদের আত্মপরিচয়হীনতায় ভূগতে হবে? সবাইকে সাহসী হতে হবে। কেননা তোমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করেছো। ’

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সঙ্কট সমাধানে কাজ করতে পারেনি। এ আন্দোলনের পাশে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের ভিন্নভাবে দেখা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তা করার জায়গা। স্বাধীন মত প্রকাশের জায়গায় কেন এ সঙ্কট হবে? ক্যাম্পাস স্থিতিশীল রাখতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকার ও প্রশাসনের এক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে হবে।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের করার দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।