ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অভিযোগ বাক্স চালুর দাবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অভিযোগ বাক্স চালুর দাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকা শিক্ষার্থীরা যাতে সহজেই অভিযোগ জানাতে পারেন সেইজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অভিযোগ বাক্স চালু করার দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান এ দাবি জানান।  

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এ আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।

 

সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, রোবায়েত ফেরদৌস, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক রশিদুল হাসান প্রমুখ।

তানজিম উদ্দীন খান বলেন, আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন হলে সবাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দূরে সরে যান। যারাই ক্ষমতাই আসেন তারাই একই কাজ করেন। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম টিকিয়ে রাখতে হবে। নিরাপত্তা ইস্যুতে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে এবং উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে একটি অভিযোগ বাক্স চালু করতে হবে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নামে-বেনামে অভিযোগ জমা দিবেন। একমাস পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সামনে উপস্থাপন করে অভিযোগগুলো সুরাহা করতে হবে।

আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, কোটা আন্দোলনে পুলিশের আক্রমণ করার কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। সরকারের দায়িত্ব ছিল এর আগেই সবকিছু সমাধান। এখন মামলা দিয়ে বিষয়টি আরেও জটিল করে তোলা হয়েছে। উপাচার্যের বাসভবনে হামলা নিন্দনীয়। আমি মনে করি এই হামলা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের পক্ষ থেকে আসেনি।

ফাহমিদুল হক বলেন, কোটা আন্দোলেনে আমাদের মৌন সমর্থন ছিল। কিন্তু ৮ তারিখের ঘটনার পর আমরা দূরে থাকতে পারি নি। কেন প্রশাসনকে অবহিত না করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হবে? আন্দোলনের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের হয়রানি হলে আমরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিব। সংখ্যাগরিষ্ঠদের মত বোঝার চেষ্টা করুন। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।  

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নূরুল হক নূর, রাশেদ খান, ফারুক হাসান।

এসময় তারা শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করা, অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করা, দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করা, সবগুলো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রশাসনকে সহায়তা করা ও হলে হলে কোনো ছাত্র সংগঠন দিয়ে যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন না করার দাবি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
এসকেবি/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।