ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

রংপুরের এক ‘সুপারম্যান’ শিক্ষকের গল্প

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
রংপুরের এক ‘সুপারম্যান’ শিক্ষকের গল্প প্রিয় স্যারের কক্ষে এসে ঘিরে ধরে কাঁদছে শিশুরা। ছবি: সংগৃহীত

এ এক শিক্ষকের গল্প। এক স্বপ্নবাজ অধ্যক্ষের গল্প। এক ভালোবাসা-আদর-স্নেহের ফেরিওয়ালার গল্প। যার ‘ট্রান্সফার’র (বদলি) খবরে কান্নার রোল পড়ে যায় ক্লাসে ক্লাসে। মেঘ জমে সহকর্মী শিক্ষকদের মনের আকাশে। আড়ালে চোখ মোছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি খোদ শিশুদের অভিভাবকরাও।

তিনি রংপুরের দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমান। যাকে ‘সুপারম্যান’র সঙ্গে তুলনা করছেন শিশুদের অভিভাবকেরাই।

তিনি অধ্যক্ষ হয়েও ক্যান্টিনে গিয়ে সিঙ্গারা বেচতে পারেন বলে, মাঠে নেমে শিশুদের সঙ্গে কানামাছি খেলতে পারেন বলে অথবা অনুষ্ঠান আয়োজনে র‍্যালিতে রিকশা ভ্যান নিজেই চালিয়ে যেতে পারেন বলে।

শিশুদের হৃদয়ে এমনভাবে জায়গা করে নেওয়া একজন অভিভাবকতুল্য শিক্ষকের যদি বদলির খবর আসে কে স্বাভাবিক থাকতে পারবে? মিলেনিয়াম স্টারস স্কুলের ছোট ছোট শিশুর দলও পারেনি। কান্নার রোল তুলেছে শ্রেণিকক্ষে। প্রিয় অধ্যক্ষের কক্ষে এসে ঘিরে ধরেছে তাকে। হাউমাউ করে কেঁদে বলেছে, তিনি গেলে আর তারা স্কুলে আসবে না। এমন ভালোবাসার বৃত্তে পড়ে কী করবেন নাজমুর রহমান?

তা নিয়েই নিজের সোশ্যাল প্লাটফর্মে একটি লেখা লিখেছেন তিনি। আবেগমাখা লেখাটি এমন---

“ভালবাসার অরুণিমায়...
এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল। ‘জন্মিলে মরিতে হইবে’, এটাই তো চিরন্তন সত্য। পুরনো প্রাণের প্রস্থান না হলে কিভাবে নতুনের আগমন ঘটবে? 

আমার রুটিন পেশাগত দায়িত্বের কিছুটা বাইরে হঠাৎ পোস্টিং হয় দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল অ্যা ন্ড কলেজ, রংপুর এর অধ্যক্ষ হিসেবে। পোস্টিং অর্ডার শোনার সাথে সাথে মনটা অনিশ্চয়তায় কেঁপে উঠল। খুবই চিন্তিত হলাম, আমি কেমন করে এই দায়িত্বটা পালন করব। এই পদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনও জ্ঞান-তো আমার নেই। সেদিন স্ত্রী আমার পাশে বসে পরম নির্ভরতার সাথে বলেছিল, পোস্টিংটা স্বাভাবিকভাবেই নাও। যারা তোমাকে পোস্টিং করেছেন নিশ্চয়ই ভাল কিছু চিন্তা করেই করেছেন। ওর কথা শোনার পর মন খারাপের রেশটা কেটে গেল।

রংপুরে এসে পৌঁছলাম, ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি তারিখে। আমাকে সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত গাড়ির চালককে বললাম, ‘আমাকে প্রথমে মিলেনিয়াম স্টারস স্কুলে নিয়ে যাবে’। চালক বলল, ‘স্যার, রাতে তো তেমন কিছুই দেখা যাবে না’।

আমি মৃদু হেসে বললাম, ‘তোমার কথাটা ঠিক, তারপরও আমাকে সেখানে নিয়ে যাও। কারণ, আমি আমার জন্য নির্ধারিত অফিসার্স মেসের কক্ষে ঢোকার আগে, সেই স্থানের মাটিকে স্পর্শ করতে চাই, যেখানে আমার সামনের কয়েকটি দিন জড়িয়ে থাকবে’।

রাত সাড়ে নয়টায় আমরা পৌঁছালাম আমার নতুন ঠিকানা- দি মিলেনিয়াম স্টারস স্কুল ও কলেজের সীমানায়। জানুয়ারি মাসের শীতের রাত। কনকনে শীত। স্কুলের কর্তব্যরত নিরাপত্তা প্রহরী এসে জানতে চাইল পরিচয়। রাতের আঁধারে অস্পষ্ট স্কুল ভবনটির মতো আমিও ওর কাছে কিছুটা অস্পষ্ট থাকতে চাইলাম। বললাম, ‘নতুন এসেছি রংপুরে, শুনলাম স্কুলটা ভাল, বাচ্চাদের ভর্তি নিয়ে চিন্তায় আছি, তাই একনজর এই স্কুলটা দেখতে এসেছি’।

নিরাপত্তা প্রহরী বলল, ‘দিনের বেলা আসেন, ভাল করে দেখেন, স্যারদের সাথে কথা বলেন, স্যাররা দেখবেন ভর্তি করা যায় কিনা?’

ও তখনো জানে না, তার সাথে কথোপকথনরত এই লোকটিই সামনের দিনগুলোতে এই স্কুল ও কলেজের সকল কার্যক্রমের সাথে মিশে যাবেন তাদেরই একজন সহকর্মী হয়ে কিছুদিনের জন্য। গাড়ি বারান্দার পিলারটি স্পর্শ করে কাল্পনিক একটা অনুভূতির শিহরণ অনুভব করলাম আমার আজানা ভবিষ্যতের সারথীর সাথে। কিছুটা এদিক ওদিক উঁকি মেরে দেখলাম, ধীরে ধীরে হাঁটলাম, তারপর চললাম... অফিসার্স মেসের দিকে।

খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম, খেলার মাঠটি নানান ধরণের নির্মাণ সামগ্রীতে ভরপুর দেখে। শিশুর প্রথম চাহিদাই তো ছোটাছুটির একটু জায়গা..। প্রজাপতির মতো উড়তে পারা...ফড়িং এর লেজ আর পাখনা ধরে টানাটানি করা...ঘাসে আর মাটিতে লুটোপুটি খেয়ে জামা ময়লা করে বাসায় ফিরে মায়ের বকা খাওয়া...। শৈশবে একটুকরো রঙিন দিন পাওয়া ওদের অধিকার...।

পরদিন স্কুলে এসে তৎকালীন প্রিন্সিপাল সাঈদ আহমেদ স্যারের সাথে দেখা করলাম। যেহেতু স্যার তখনও দায়িত্বে ছিলেন তাই আমি অনানুষ্ঠানিকভাবে স্কুলের বিভিন্ন অংশ ঘুরে ফিরে দেখছিলাম এবং ধীরে ধীরে আমার মানসপটে আঁকতে শুরু করেছিলাম কল্পনার আলপনায় কিছু উচ্চাভিলাষী দৃশ্য। পড়াশোনার পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরা গড়ে উঠবে মানবিক গুণাবলী নিয়ে। খেলাধুলা করে মজবুত শারীরিক গঠন নিয়ে ওরা তৈরি হবে তেজোদ্দীপ্ত নাগরিক হিসেবে, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবে আমাদের সোনামনিরা। ওরা জানবে সমাজে মাথা উঁচু করে বাচঁতে হলে শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলে হবে না, ভাবতে হবে আমাদের চারপাশ নিয়ে। মানুষের কষ্টে চুপ করে থাকা যাবে না। নৈতিকতা আর চারিত্রিক মূল্যবোধের আলোয় উদ্ভাসিত হতে হবে। মা-বাবা সহ অন্য সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্ববোধ সম্পন্ন হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

এগুলো কে করাবে ওদের? আমাকেই করতে হবে। এটাই আমার চ্যলেঞ্জ।

প্রথমেই শুরু করি স্কুল গেট/প্রবেশ পথ থেকে, আমার সোনামনিদের সাথে ‘আসসালামু আলাইকুম, গুড মর্নিং, ওয়েলকাম টু ইওর লাভিং স্কুল’ বলে।

কারণ, আমি মনে করতাম, এটা শিশুদের স্কুল। ওদের রাজত্ব। ওদের জন্যই আমরা আছি। আমাদের জন্য ওরা নয়। ওদের আগমনে জেগে উঠে যে ক্যাম্পাস, সেই ক্যম্পাসের বাকি সবাই তো ওদের আগমনের খুশিতে ওদের অভ্যর্থনা জানাবে, নাচবে, সুর করে গাইবে। শিশুরা যখন চলে যায়, পুরো কাম্পাসজুড়ে নেমে আসে যেন মৃত্যুপুরীর ছায়া। আমার দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়। আমি অধীর থাকি আর একটি সকালের। ওদের কলকাকলী যেন এক তীব্র সঞ্জীবনী শক্তি।

শুরু করেছিলাম একটি শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পড়াশোনার কার্যক্রম, ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন প্রোগ্রাম, একটি খেলার মাঠ পাওয়ার চেষ্টা, একটি সুন্দর লাইব্রেরি- যেখানে অকারণেও যেতে মন চাইবে, কমন রুম, দৃষ্টিনন্দন বাগান, পানির ছুটে চলার শব্দময় ঝরনা, একুয়ারিয়াম তৈরি। প্রতিটি কাজের পেছনে ছিল সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য।

রাতের পর রাত ছুটে গিয়েছে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে। জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে গিয়েছি। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে গিয়েছি। কর্দমাক্ত পথে স্যন্ডেল খুলে, প্যান্ট গুটিয়ে হাজির হয়েছি আমার তারাদের বাসায়। দেরি করলে তো চলবে না। ওদের সমস্যাগুলো জেনে সমাধানের পথ দেখিয়ে দিতে হবে। ফিরতে ফিরতে গভীর রাত হত। আমার স্ত্রী অসুস্থ অবস্থায় কখনও কখনও বলতো, ‘ভুলে যেও না তোমারও একটি পরিবার আছে’। আমি চুপিচুপি সৃষ্টিকর্তাকে বলেছি, ‘হে প্রভু, তুমিই সহায়...’

দুই বছর সময়ে ৪০০ এর বেশি শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়েছি, ওদের সাথে কথা বলেছি, বুঝিয়েছি সময়ের গুরুত্ব, নৈতিকতার গুরুত্ব, বাবা-মায়ের কথা শোনার গুরুত্ব। নিবিড়ভাবে কথা বলেছি ওদের অভিভাবকদের সাথে, আমাদের ভুল-ত্রুটি জেনেছি, যা হয়ত সবার সামনে ওনারা বলতে পারেন না। আশ্বাস দিয়েছি সমাধানের।  

প্রতিদিন সন্ধ্যার পর আমার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীদের যাদের জন্মদিন থাকে, তাদের ফোন করে শুভেচ্ছা জানাতাম। কিছু হয়ত বাদ পড়ত, তবে বেশিরভাগই করতাম।

৮০ জন শিক্ষকের প্রত্যেকের বাসায় বাসায় গিয়েছি। তুলে ধরেছি আমাদের স্বপ্নের স্কুলকে নিয়ে আমার প্রত্যাশার কথা। কনফারেন্সে তো আর সবার মনোযোগ সমান থাকে না। তাই ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে ওনাদের বুঝিয়েছি। জেনেছি পারিবারিক সুবিধা-অসুবিধার কথা, যা আমাকে অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করতো।

বারবার আমার শিক্ষকদের বলেছি, ‘আপনি কত বেশি জানেন তা আপনার শিক্ষার্থীদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার ব্যাপারে কত বেশি যত্নশীল সেটা। তাই আমাদের সকল কাজেই যেন যত্নটাই মুখ্য হয়’।

অনেক সময় গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে কাজ করতে হয়েছে। প্রশ্ন নিজেই তৈরি করতাম কিছু ক্ষেত্রে। ওগুলো নিজেই টাইপ ও প্রিন্ট করে শুরু করতাম ফটোকপি। এসব কাজ করার সময় চেষ্টা করতাম অফিস সহকারীদের না ডাকতে। কারণ, ওদেরও পরিবার আছে, নিজের ব্যস্ততা আছে। স্ক্যানিং, ফটোকপি করা, পানির মেশিন অন করা, কফি মেশিন চালানো এ জাতীয় কাজ শিখে নিয়েছিলাম শুধু অন্যদের একটু দম ফেলার সময় বাড়িয়ে দিতে। এসব করতে গিয়ে আমি না হয় একটু বেশিই ক্লান্ত হলাম।

এভাবে দিন গড়িয়ে যেতে থাকে। আমিও ছুটতে থাকি আমার ভালবাসার প্রজাপতি, ফুল-পাখি আর তারাদের সাথে। কখনও টিফিন পিরিয়ডে ক্লাসে বসে ওদের সাথে চুটিয়ে গল্প, ভিড় সামলাতে কখনও ক্যান্টিনে বিক্রি করতে থাকি সিঙ্গারা, সামুচা, কখনও মাঠে গিয়ে কানামাছি, মাংকি মাংকি খেলা, বাগানের গাছের সাথে পরিচয়, শিশুদের দলবেঁধে রিকশা চড়ানো...।

ওদের বিস্ময় ভরা চোখ, পিটপিট করে তাকানো, আর নরম কণ্ঠে উচ্চারিত, ‘তুমি থাকলে, আমাদের স্কুলে আসতে ভাল লাগে...’ কথাগুলো আমাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে দেয়...ওদের ভালবাসার কাছে আমি হেরে যাই।

এই হেরে যাওয়া যে কী মজার...আর হৃদয়স্পর্শী...তা বোঝাতে পারবো না।

আর এই পথে চলতে গিয়ে আমি অনুভব করি এক ভয়ংকর অদৃশ্য মায়ার জাল আমাকে ঘিরে ফেলছে, আমি চিৎকার করে উঠি...কিন্তু কানে যেন শুনতে পাই সেই চিৎকার সুর হয়ে বাজছে।

যে সর্বনাশা ভালবাসায় আমাকে আমার ছাত্র-ছাত্রীরা জড়িয়েছে তা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ ছিল উপরের অংশে বলা গুণাবলী ওদের মধ্যে সৃষ্টি করার প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ...। আমি এজন্য দায়বদ্ধ ছিলাম...

আমার অফিসে এসে শিশুরা কাঁদতে কাঁদতে বলে গেল, ‘আপনি চলে গেলে আমরা স্কুলে আসব না’। আমি বোঝানোর চেষ্টা করলাম, স্কুলে না আসলে তোমরা বড় হতে পারবে না’। সাথে সাথে চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বললো, ‘আমরা বড় হব না। আমাদের বড় হওয়া লাগবে না...’।

কী করুণ সেই দৃশ্য! আমি অসহায়ের মতো জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছি, ‘হে প্রভু, তুমি ভালবাসাকে কেন এত তীব্র করে সৃষ্টি করেছ?’

আমি জানি, এটা আবেগের কথা, বাস্তবের কথা না।  আজ বিদায়ের ঘণ্টা শুনে আমার শিশুগুলো যখন কাঁদছে, আমি দৃঢ় কণ্ঠে ওদের বোঝানোর চেষ্টা করছি পুরনোর প্রস্থান আর নতুনের আগমনই জগতের নিয়ম। এটাই মানতে হবে।

কিন্তু আমার হৃদয়...সেখানে এক প্রলয়ংকরী ঝড় বয়ে যাচ্ছে...
সমুদ্রের উপরের পৃষ্টে শান্ত স্রোতের আড়ালে গভীরে সৃষ্ট ভূমিকম্প বা সুনামি অনেক পর্যটকের কাছে দৃশ্যমান হয়ত হয় না। কিন্তু আমি কি আমার নিজের কাছে সেই সত্য কে আড়াল করতে পারি...
হয়ত একেই বলে সর্বনাশা ভালবাসা...”

এই ‘সর্বনাশা’ ভালোবাসার পরিণতি কী হলো? একেবারে রূপকথার গল্পের মতো, মধুর।

স্কুলটি থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নাজমুর রহমানের বিদায়ের খবরে পুরো রংপুরে যেমন বিষাদের ছায়া ভর করে, তেমনি হইচই পড়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও। শেষমেষ গত সোমবার (১৪ মে) নাজমুর রহমানকে ওই স্কুলেরই অধ্যক্ষ হিসেবে রেখে দেওয়ার খবর জানা যায়। এতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে বয়ে যায় আনন্দের জোয়ার।

ওই স্কুলের একজন অফিস সহকারী ফেসবুকে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে, ছোট্ট সোনামণিদের চোখের পানি, সবার দোয়া বৃথা যায়নি। স্যার এর বদলি বাতিল হয়েছে। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে স্যার এর প্রিয় মুখখানা আবার প্রতিদিন দেখতে পাব। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন। আমিন। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।