ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

বাধ্যতামূলক হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা: নাহিদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
বাধ্যতামূলক হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা: নাহিদ বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সাধারণ শিক্ষার সবক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার একটি বিষয়ে পড়া বাধ্যতামূলক করার চিন্তা করছে সরকার।

রোববার (২০ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড যৌথ গবেষণার একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় দেশে মাত্র এক শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হতো কারিগরিতে।

এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে। আগামী ২০২০ সালে এ হার ২০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ৯ বছরে কারিগরি শিক্ষার যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। কারিগারি শিক্ষার এই পরিবর্তনের জন্য অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে এই শিক্ষার কোনো লক্ষ্য ছিল না। আগে মাত্র ১ শতাংশ শিক্ষার্থী ছিল। এখন মোট শিক্ষার্থীর ১৪ শতাংশ কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করে।

নাহিদ বলেন, নারীদের কারিগরি শিক্ষায় উৎসাহী করতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে নারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট করা হচ্ছে। এরইমধ্যে চারটির কাজ শেষ, সেখানে লেখাপড়া শুরু হয়েছে। আগে কারিগরি শিক্ষায় মানুষের আগ্রহ ছিল না। বিদেশে দেড়কোটি মানুষ কাজ করলেও অভিজ্ঞতা সম্পন্নদের সংখ্যা হাতেগোনা।

তিনি বলেন, সারাদেশে আরও ৩৪টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। বর্তমানে ৪৯টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটি রয়েছে। দক্ষতা ছাড়া চাকরির নিশ্চয়তা নেই। আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার প্রতি মানুষের অনীহা রয়েছে। প্রকৃত অর্থে কারিগরিতে যারা লেখাপড়া করেছে তারাই বেকারের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে। সবাই এখন দক্ষতা খোঁজে।

অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, কারিগরি শিক্ষার প্রতি সরকার জোর দিচ্ছে। আগামীতে অষ্টম শ্রেণিতে একটি করে ট্রেড কোর্স চালু করার বিষয় ভাবছে সরকার।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম বলেন, দেশে ভুরি ভুরি বিবিএ, এমবিএ তৈরি হচ্ছে। আসলে এসব দরকার আছে কি-না? তার কোনো গবেষণা নেই। আমাদের প্রায় এক কোটি প্রবাসী শ্রমিক রয়েছেন, তারা যে পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠান তার চারগুণ এখানে বিদেশি শ্রশিকদের দিতে হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষা উন্নতি হলে, আমাদের এই দৈনতা থেকে উত্তরণ ঘটবে।

পঞ্চগড় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ আবদুল আজিজ গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদের কোনো বিকল্প নেই। দেশের শিক্ষার সঙ্গে কর্মের সমন্বয় নেই। উন্নত দেশে কর্মের বাজারের সঙ্গে শিক্ষার যোগসূত্র থাকে এটা আমাদের দেশে প্রায় অনুপস্থিত। এখানে কোনো গবেষণা নেই, কোন খাতে কত জনসম্পদ লাগবে, তৈরি করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।