ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করলো ইউজিসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করলো ইউজিসি

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

জনস্বার্থে মঙ্গলবার (২২ মে) ইউজিসির ওয়েবসাইটে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।

ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে মোট ১০১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

এর মধ্যে ৯১টিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এখন পর্যন্ত দেশে কোনো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, ক্যাম্পাস, স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমতি দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি।  

এ জন্য কোনো বিদেশি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে প্রতারণার শিকার না হতে সতর্ক করেছে ইউজিসি।

এছাড়া বলা হয়, তারপরও কেউ ইউজিসির অনুমোদনহীন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ক্যাম্পাসে ভর্তি হলে তার দায়-দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ইউজিসি নেবে না। তাই ভর্তির আগে ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দেশের ১০১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬০টিতে উপাচার্য, ২০টিতে সহ-উপাচার্য এবং ৪৪টিতে আচার্যের নিয়োগ করা কোষাধ্যক্ষ আছে। বাকিগুলোতে নেই।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমস্যা থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইবাইস ইউনিভার্সিটিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব বা আদালতে বিচারাধীন থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আরও রয়েছে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি। সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চলছে।

সরকার বন্ধ করলেও আদালতের রায়ে চলছে আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা। অননুমোদিত ক্যাম্পাস চালাচ্ছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলো হলো-ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

কুইন্স ইউনিভার্সিটি সরকার বন্ধ করেছিল। পরে ২০১৫ সালে শর্তসাপেক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বছরের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাপত্র দেয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তারা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি প্রোগ্রামের বিষয়ে ইউজিসির অবস্থান এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা রিট এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচটি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে আদালতের নির্দেশনা থাকার কথাও তুলে ধরা হয় গণবিজ্ঞপ্তিতে। আর আদালতের আদেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ও এর সব কটি শাখা ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া আটটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি অনুমোদন পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম বা ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়নি। এগুলো হলো-কেরানীগঞ্জের রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের রূপায়ণ এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি, জেড এন আর এফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, আহছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহীর শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, খুলনার খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এমএফআই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।