ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

এইচএসসির ফল সার্থক হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এইচএসসির ফল সার্থক হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেই শিক্ষার্থীদের উল্লাস। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ‘এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছি। পরবর্তীতে দীর্ঘ দুই বছর পরিশ্রম করেছি ভালো ফলটা ধরে রাখার জন্য। সফল হয়েছি। তবে আমার এই ভালো ফলাফলটা সার্থক হবে যদি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারি।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া মারজুকা জাহান এভাবেই বাংলানিউজকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে নিজের আগ্রহের কথা জানান।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের কঠিন ভর্তি যুদ্ধে অংশ নিতে হয়।

কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে আসন সংখ্যা তার বিপরীতে বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। একটি আসন নিজের করে নিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর যে সময় পাওয়া যায় তার মধ্যে নিজেকে প্রস্তুত করতে হয়।

মারজুকা জাহান বলেন, আমার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা। এজন্য ভর্তি কোচিং এটাকে প্রাধান্য দিয়ে করছি। বুয়েট আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাই।

মেয়ের এমন ফলাফলে মা রোকেয়া বেগম দারুণ খুশি। কলেজ প্রাঙ্গণে একবার মোবাইলে ফল দেখছিলেন আবার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে আদর করছেন। অনুভূতি জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমার চার সন্তানের মধ্যে মারজুকা সবার ছোট। সে অনেক পরিশ্রম করেছে ভালো ফলাফলের জন্য। এজন্য তার শিক্ষকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

শুধু মারজুকাই নয়, বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের পর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সবার মাঝে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ভাবতে দেখা যায়।

পাশাপাশি ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাসের জানান দিয়েছেন তারা। অভিভাবক, সহপাঠীদের সঙ্গেই কোলাকুলি, লাফ কোনটাই বাদ যায়নি। হাসিমুখে দীর্ঘদিনের কষ্টের অর্জনকে উদযাপন করছেন।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী আনিসা হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষা দিয়ে মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। রেজাল্ট দেখে নিশ্চিত হলাম। আমি বুয়েটে পড়তে চাই। আমার ফলাফলের জন্য আব্বু-আম্মু সর্বোপরি শিক্ষকদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আমাদের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট। গতবারের চেয়ে আমরা জিপিএ-৫ এর দিক থেকে ৪৩ জন বেশি পেয়েছি। এবার দেশে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে। আমরা মনে করি আমাদের শৃঙ্খলা, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ ভালো ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

এবারের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইসএসসি) পরীক্ষায় ভিকারুননিসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন এক হাজার ৮৫৩ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন এক হাজার ৮৪৯ জন। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯৯৭ জন। অকৃতকার্য হয়েছেন চার জন। পাসের হার ৯৯.৭৮ শতাংশ।  

বিজ্ঞান বিভাগের এক হাজার ৪০০ জনের মধ্যে ৯২৩, মানবিকের ২৩৩ জনের মধ্যে ২২ ও বাণিজ্যিক বিভাগের ২২২ জনের মধ্যে ৫২ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এসকেবি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।