ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

সরকারে যেই আসুক, ১ জানুয়ারি বই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
সরকারে যেই আসুক, ১ জানুয়ারি বই শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নির্বাচন নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা যাতে বিনামূল্যের বই পায় সেজন্য বই পাঠানো শুরু হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, নির্বাচন ও সরকারে যে দলই আসুক ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বই পাবে। এজন্য জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন মন্ত্রী।

জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্যঅধিবেশন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
 
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 
 
অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখানে সরকারে কে আসবে না আসবে নির্ধারিত হবে, হয়তো ডিসেম্বর মাসের দিকে হয়তো নির্বাচন হবে। কিন্তু জানুয়ারি মাসে যাতে বই পেতেই পারে, তার জন্য আমরা ইতোমধ্যে বই ছাপা শুরু করে দিয়েছি, পাঠানোও শুরু করে দিয়েছি।
 
‘এই বইগুলো যেন তারা (ডিসি) রাখেন এবং ঠিকমতো ব্যবস্থা নেন সেটার জন্য আহ্বান জানাইছি। গভমেন্ট কী অবস্থায় থাকবে, কিন্তু বই ঠিক থাকবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ইতোমধ্যে আমরা বই পাঠানো শুরু করে দিয়েছি। ’
 
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- প্রশ্নে নাহিদ বলেন, আমরা যে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি, আপনাদেরও সহযোগিতা ছিল, সবার সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা নিয়েছি, যার ফলে অভিজ্ঞতা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কীভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হই, যাতে সঠিক পরীক্ষা নিতে পারি। আগামী পরীক্ষা যেন ভালোভাবে নিতে পারি সেজন্য সবাইকে বলেছি প্রস্তুতি নিতে।
 
নাহিদ বলেন, বইও যেন সময়মতো পেতে পারে, সেই সময় গভমেন্ট যেই থাকুক, নির্বাচনে যেই আসুক, জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে ছেলে-মেয়েরা বই পায়, সে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি, চার দিন আগ থেকে আমরা এবার বই পাঠানো শুরু করেছি।   
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যে বই বিতরণ করি বা বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা হয়, আমাদের প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, এগুলোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। আমরা মনে করি তাদের সহযোগিতা ফলপ্রসু হয়েছে এবং তারা খুশি হয়েছে। এটা অব্যাহত রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে।
 
নাহিদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক কম, সেগুলোর রিক্রুটমেন্টের সমস্যা, কিছু আছে সরকারি সেগুলো পিএসসি থেকে করা হয়, কিছু আছে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে। প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ করা- এগুলো বিষয়ে তাদের পরামর্শ শুনলাম, আমরাও বলেছি কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
 
‘শিক্ষকের সংখ্যায় স্বল্পতা আছে, সংখ্যা বৃদ্ধির বা শূন্য পদ পূরণের জন্য আমাদের যে সব জায়গায় প্রয়োজন সেগুলোর ব্যাপারে কাজ করছি, সেগুলো জানিয়েছি’।
 
নাহিদ বলেন, নদী ভাঙন, হাওরাঞ্চল গুলোর বিষয়ে আমরা যেসব ব্যবস্থা নিয়েছি, সেগুলো তারা জানতে চেয়েছেন, আমরা বলেছি যে সব কাজ করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।