ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

কুয়েটের তিন শিক্ষক ও দুই ছাত্রের শাস্তি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৮
কুয়েটের তিন শিক্ষক ও দুই ছাত্রের শাস্তি 

খুলনা: গবেষণাপত্র নকলের (প্লাগারিজম) অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তিন শিক্ষক ও দুই ছাত্রকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৬২তম সভায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ওই শাস্তি প্রদান করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ, সহকারী অধ্যাপক আবদল্লাহ-আল-বারী ও এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাসান আলী এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র মো. মেজবাহ-উল-ইসলাম ও মো. শাহাদত হোসেন। এর মধ্যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি তিন বছরের জন্য স্থগিত এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য উচ্চতর স্কেল স্থগিত করা হয়েছে।

সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ-আল বারীর বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি আগামী তিন বছরের জন্য স্থগিত এবং দুই বছরের জন্য উচ্চতর প্রমোশন স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া মো. হাসান আলীকে সহকারী অধ্যাপক পদ থেকে অবদমিত করে প্রভাষক পদে পদায়ন করা হয়েছে। দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে মেজবাহ-উল-ইসলাম এর সিজিপিএ দশমিক ০৫ এবং মো. শাহাদত হোসেনের সিজিপিএ দশমিক ০২৫ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।  

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ২০০৪ সালে মিটসুবিসু মটরস এর টেকনিক্যাল রিভিউতে (নম্বর-১৬) প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধের প্রায় শতভাগ হুবহু নকল করে কুয়েটের ওই শিক্ষকরা ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ভলিউম-২, ইস্যু-১) এবং আইসিএমআইএমই ২০১৩ এ দুইটি টেকনিক্যাল পেপার প্রকাশ করেন।

ওই সময়ই নকলের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগটি প্রমাণিত হলে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৮ তম সভায় বিষয়টি তদন্তের জন্য কুয়েটের আইআইসিটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্স-এর পরিচালক প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইট জাফর রাজা চৌধুরী-এর সমন্বয়ে ৩ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

তারা পৃথক প্রতিবেদনে প্লাগারিজমের সত্যতা পান। কুয়েটে উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের সদস্যরাই এই শাস্তির সুপারিশ করেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, ২৪ জুলাই, ২০১৮ 
এমআরএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।