ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

সমুদ্র তীরের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় জাপান

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
সমুদ্র তীরের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় জাপান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির উপ-রাষ্ট্রদূত তাকেশি ইতো। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): নতুন প্রণীত সমুদ্র নীতির মাধ্যমে জাপান সমুদ্র তীরবর্তী প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির উপ-রাষ্ট্রদূত তাকেশি ইতো। 

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক বিশেষ বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।  

‘জাপানিজ মেরিটাইম পলিসি অ্যান্ড ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকার জাপান দূতাবাস ও ঢাবির দক্ষিণ এশীয় গবেষণা কেন্দ্র।



বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাপানের সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক অশুকো নেহেরা।  
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।

উপ-রাষ্ট্রদূত তাকেশি ইতো বলেন, জাপান ও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সমুদ্র নীতির প্রতি বিশ্বাসী। আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। এরই প্রেক্ষিতে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাপান তৃতীয় সমুদ্র নীতি প্রণয়ন করেছে। আমরা সমুদ্রের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাই এবং সমুদ্র তীরবর্তী  প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে প্রণীত সমুদ্র নীতিতে জাপানের সমুদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত  করা হয়েছে। নতুন সমুদ্র নীতিতে সমুদ্রে রুল অব ল’ নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক অশুকো নেহেরা বলেন, জাপান প্রতি পাঁচবছর সমুদ্র নীতির পরিকল্পনা করে থাকে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরের মে মাসে তৃতীয় সমুদ্র নীতির পরিকল্পনা করেছে। এর আগে গত ২০০৮ সালে সমুদ্রনীতির প্রথম মূলনীতি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। তারপর দ্বিতীয় সমুদ্রনীতি পরিকল্পনা করে ২০১৩ সালে। কিন্তু সর্বশেষ পরিকল্পনায় সাগর অর্থনীতির নিরাপত্তার বিষয়টি বিস্তৃত আকারে প্রণয়ন করা হয়।

নতুন সমুদ্রনীতিতে ৯টি বিষয়বস্তু তুলে ধরেন অশুকো নেহেরা। এগুলো হলো- সমুদ্র নিরাপত্তা, সাগর কেন্দ্রিক উৎপাদন শিল্প সংক্রান্ত ব্যবহার উন্নত করা, সাগরের আবহাওয়া বজায় রাখা ও সংরক্ষণ করা, মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেসের ধারণক্ষমতা শক্তিশালী করা, সমুদ্র জরিপ এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে উন্নয়ন ও গবেষণা বাড়ানো, দূরবর্তী দ্বীপগুলোকে সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্তি উন্নয়ন, উত্তর মেরু সংক্রান্ত নীতি উন্নত করা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত ও মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বাংলাদেশ সামুদ্রিক অর্থনীতিতে অনেক এগিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর আঞ্চলিক যোগাযোগও অনেক বেড়েছে।  

জাপানের সমুদ্র নীতি পরিকল্পনাকে বাংলাদেশ অনুসরণ করলে অর্থনৈতিকভাবে অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এসকেবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।