ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

জবির প্রকল্প অনুমোদনে আনন্দ মিছিল ও বিক্ষোভ

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
জবির প্রকল্প অনুমোদনে আনন্দ মিছিল ও বিক্ষোভ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

অপরদিকে শর্তসাপেক্ষে নতুন ক্যাম্পাস স্থানান্তরের খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে জবি ক্যাম্পাসে পৃথকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করে সংগঠনগুলো।

মিছিল শেষে জবি ছাত্রলীগের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্পটির অনুমোদন করেছেন, আগামী একাদশ নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় না আসতে পারে তাহলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।  
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ২৭/৪ নামক যে কালো ধারার মাধ্যমে একটি অসম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে ধারা বাতিল করে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে এই মেগা প্রকল্প হাতে নেন।  

এদিকে পুরাতন ক্যাম্পাসের বিনিময়ে নতুন ক্যাম্পাসের অনুমোদনের খবরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্রজোট নেতারা বলেন, পৃথিবীর বহু বিশ্ববিদ্যালয়েরই একাধিক ক্যাম্পাস রয়েছে। জগন্নাথ বিশ্বাবদ্যালয়েও একই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে হবে। অনেক লড়াই, সংগ্রাম আর ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী এই ক্যাম্পাসকে জগন্নাথ বিশ্বাবদ্যালয়ের অংশ হিসেবে রেখেই নতুন ক্যাম্পাসে আবাসিক হল নির্মাণের এবং আনুষঙ্গিক উন্নয়ন কার্যক্রম চালাতে হবে।  

তা না করে বর্তমান ক্যাম্পাসের জায়গা নিয়ে কোন ধরনের চক্রান্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রনেতারা।

তবে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পুরাতন ক্যাম্পাস ছেড়ে নতুন ক্যাম্পাসে যাওয়ার যেকোন সিদ্ধান্ত না মানার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে নতুন ক্যাম্পাসের শর্তের বিষয়ে রে‌জিস্ট্রার প্র‌কৌশলী ও‌হিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখনও কোন শর্তের কথা জা‌নি না। কারণ এখন মুল ইন্ট্র‌লেশন পাই‌নি। এটা আসতে অন্তত এক মাস লাগবে। তখন বোঝা যাবে যে কি শর্ত রয়েছে। যারা বলছে, ক্যাম্পাস স্থানান্তর এর বি‌নিময়ে এ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে তাদের এ কথার ভি‌ত্তি কী আ‌মি জা‌নি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
কেডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।