ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

খুবির গণিত ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনে নবীনবরণ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
খুবির গণিত ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনে নবীনবরণ 

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণিত ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের নবাগত শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। এজন্য পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের মাল্টিপারপাস কক্ষে পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের উদ্যোগে আয়োজিত ১৯ ব্যাচের নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।  

ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন।

 

শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এন এ এম ফয়সাল আহমেদ। নবীনদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সাবরিনা আখতার শীতল ও মো. বিল্লাল হোসেন বিপ্লব। ১৮ ব্যাচের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মীম হক ও রমেশ পাল।

তার আগে সকাল ১১টায় ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু একাডেমিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয় গণিত ডিসিপ্লিনের নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠান। ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সর্দার ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ।

গণিত ডিসিপ্লিনের নবীনবরণ অনুষ্ঠান।  ছবি: বাংলানিউজবিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার ও ডিসিপ্লিনের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মধ্যে প্রফেসর ড. মো. মাহমুদ আলম এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয়ন সরকার ও মো. আরাফাত ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

উভয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জ্ঞানার্জনের তীর্থক্ষেত্র থেকে জ্ঞান লাভ করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, পাশাপাশি দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র ও মানবতার কল্যাণে নিবেদিত হতে হবে।

তিনি শিক্ষার্থীদের নীতি-নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠার দিকটিতে জোর দিয়ে বলেন, আমাদের যুবসমাজের কাছে অনেক প্রত্যাশা। কিন্তু মাদকের ছোবল তাদের জীবনের সম্ভাবনার সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, তারা এমন অন্ধকার গহ্বরে ঢুকছে যেখান থেকে বের হওয়া কঠিন।  

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এখানে আলো-অন্ধকার দু’টোই হাতছানি দেবে। কিন্তু আলোর পথকেই বেছে নিতে হবে। তা না হলে বহু আশা নিয়ে, যে উদ্দেশে পরিবার এখানে পাঠিয়েছে তা অর্জন সম্ভব হবে না।  

উভয় অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এমআরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।