গত বছরের ৮ নভেম্বর রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীকে ‘নিরাপত্তা উপদেষ্টা’, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মাহমুদুল হাছানকে ‘আইটি উপদেষ্টা’ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. মাহবুবুল হক ভুঁইয়াকে ‘গণমাধ্যম উপদেষ্টা’ হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন উপাচার্য।
তবে উপদেষ্টাত্রয় কী দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা উল্লেখ ছিল না অফিস আদেশে।
‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধন আইন-২০১৩’ ঘেঁটে দেখে এমন কোনো পদ বা দায়িত্বের হদিস মেলেনি। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটও এমন পদের অনুমোদন করতে পারে না, যদিও সিন্ডিকেটেও এই তিন পদের অনুমোদন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী নিরাপত্তা বিষয়ের জন্য প্রক্টর, আইটি সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য আইটি সেল বা আইটি শাখা এবং গণমাধ্যম সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য জনসংযোগ অফিস থাকলেও এসব ক্ষেত্রেই ‘উপদেষ্টা’ পদের সৃষ্টি সংশ্লিষ্টদের বিস্মিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পদ বা দায়িত্বের বিষয়ে জানতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমীর হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। সাবেক উপাচার্য বলেন, ‘উপাচার্যের অনেক নির্বাহী ক্ষমতা থাকলেও এ ধরনের পদ তিনি তৈরি করতে পারেন না। ’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, ‘কাজের গতিশীলতা আনতে উপাচার্য এ ধরনের পদ তৈরি করতে পারেন এবং যে কাউকেই এসব পদে দায়িত্ব দিতে পারেন। সব বিষয় যে আইনে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এ পদগুলো আমরা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করবো। ’
সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমার একার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো সম্ভব নয়। তাই যে ব্যক্তি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ তাকে সে পদে দায়িত্ব দিয়ে তার থেকে সহযোগিতা নেই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এইচএ/