ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঈশ্বরদীতে ষষ্ঠ আঞ্চলিক কাব-ক্যাম্পুরির উদ্বোধন

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
ঈশ্বরদীতে ষষ্ঠ আঞ্চলিক কাব-ক্যাম্পুরির উদ্বোধন

ঈশ্বরদী (পাবনা): ‘সৃজনশীলতায় কাবিং’ স্লোগান সামনে রেখে ঈশ্বরদীর পাকশীতে বাংলাদেশ স্কাউট রাজশাহী অঞ্চলের ষষ্ঠ আঞ্চলিক কাব-ক্যাম্পুরি ২০১৯ শুরু হয়েছে। ২১ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে শুরু হওয়া এ ক্যাম্পুরি মহাতাবু জলসার মধ্য দিয়ে ২৬ জানুয়ারি (শনিবার) শেষ হবে।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশীর কম্পাউন্ড ঈশ্বরদীর আয়োজনে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের শতবর্ষের ফুটবল মাঠে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পাবনা-৪ সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলু।

রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও বাংলাদেশ স্কাউটস রাজশাহী অঞ্চলের সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর উপস্থাপক লতিফা তাহিরা খাতুন ইতির সঞ্চালনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহীর সচিব প্রফেসর তরুণ কুমার সরকার, পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাফিউল হক, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আহমেদ হোসেন ভূঁইয়া, পাকশী রেলওয়ে অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) নজরুল ইসলাম, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক, ঈশ্বরদীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতাজ মহল, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী, বাংলাদেশ স্কাউট আঞ্চলিক স্কাউট রাজশাহীর উপ-কমিশনার (এলটি) নওশাদ আলী, সাইফুল হক, ড. গোলাম মওলা, খলিলুর রহমান, ইয়ার আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্কাউট রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ২৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছয়জন শিক্ষার্থী একজন শিক্ষকসহ এক হাজার ৬১০ জন অংশগ্রহণ করছে। এছাড়াও ১২৫ জন সরকারি কর্মকর্তা, ৬৫জন স্বেচ্ছাসেবক, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান নেতারাসহ ২১৭টি দলে ১৩০টি তাঁবু ক্যাম্প তৈরা করা হয়েছে।

২১ জানুয়ারি থেকে তাঁবু গ্রহণ, ঘুম থেকে জাগরণ, প্রাতকালীন কাজ, নামাজ, প্রার্থনা, শরীরচর্চা, উপস্থিতি রিপোর্টিং, তাঁবু গোছানো।

রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও বাংলাদেশ স্কাউট রাজশাহী অঞ্চলের সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ শিখার জন্য কাব-ক্যাম্পুরির বিকল্প নাই। শিশুরা তাঁবুতে অংশগ্রহণ করে নিজেকে প্রস্তুত করার হাতেখড়ি এখান থেকেই ঘটবে।  

তিনি বলেন, স্কাউটিংয়ে শিশুরা জোনাকি পোকার মত। আগামী দিনে সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুললে নিজের পরিবার গড়বে, দেশের আদর্শ মানুষ হবে। অন্ধকারে আলো  ছড়ানোর মত তারা ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় ক্যাম্পুরিতে অংশগ্রহণ করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ— প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব শিক্ষার্থীকে স্কাউটিং করতে হবে। তাদের হাতে থাকবে সোনার বাংলা। দেশকে গড়ে তুলতে হলে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য স্কাউটিং থেকে যে শিক্ষা গ্রহণ করবে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার আলোকিত মানুষ গড়তে সহায়ক হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।