বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন চন্দ্র ভট্টাচার্যসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, বৈঠকে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত কাজ শেষ এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিশৃঙ্খলা এড়াতে ক্যাম্পাসে সব ধরনের মিছিল-মিটিং-সমাবেশ এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে সভার শুরুতে সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে লিখিত বক্তব্য দেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
সভায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক্লাস, পরীক্ষা হয়। ক্লাস না হলে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়বেন। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। শিক্ষকদের বলবো, আপনারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন, ক্লাসে ফিরে যান। শিক্ষার্থীদের কথা ভাবুন।
এ সময় যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নাজমুল হাসান শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা চান। তখন প্রতিমন্ত্রী পুলিশ প্রশাসনকে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য আহ্বান জানান।
উপস্থিত শিক্ষক প্রতিনিধিরা জানান, ক্লাসে ফেরার বিষয়ে শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সাধারণ সভা করবেন তারা।
গত ৮ জানুয়ারি ছাত্রলীগ নেত্রীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এর জেরে পরদিন ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
অন্যদিকে এ ঘটনা নিয়ে যশোর জেলা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ড. জাহিদকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শিক্ষককে ‘হুমকি’র প্রতিবাদে গত ১২ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
ইউজি/এমএ