শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কার্জন হল মিলনায়তনে ‘নবম বাংলাদেশ রসায়ন অলিম্পিয়াড ঢাকা ডিভিশনের প্রিলিমিনারি রাউন্ড’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ.কে. আজাদ, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান এবং মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন নবম অলিম্পিয়াডের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ওয়াহাব খান।
দীপু মনি বলেন, যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যত উন্নত, সে দেশ তত উন্নত। বর্তমান সরকার বিজ্ঞান শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান অলিম্পিয়ডে অংশ নিয়ে দেশকে তুলে ধরছে বিশ্ব দরবারে। বর্তমানে সারাদেশের প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী বিজ্ঞান অলিম্পিয়ডে অংশ নিচ্ছে।
সামাজিক কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকায় নারীরা বিজ্ঞান শিক্ষায় কম অংশ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক চাহিদার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনে নারীদের বিজ্ঞান শিক্ষায় সুযোগ করে দিতে হবে এবং বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ গঠন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
অপরদিকে প্রাথমিক পর্বের বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ ঘটবে। শিক্ষার্থীদের আন্তব্যক্তিক সম্পর্ক তৈরি এবং উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক চেতনা জাগ্রত করার ক্ষেত্রেও এ অলিম্পিয়াড ভূমিকা রাখবে। শৃঙ্খলা, পরিমিতিবোধ ও নিয়মানুবর্তিতা অনুসরণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য।
ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন কলেজের একাদশ শ্রেণির এক হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী এ অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৪ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এসকেবি/জিপি