ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মুক্তির আনন্দে কাটলো একটি দিন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
মুক্তির আনন্দে কাটলো একটি দিন শিক্ষা সফরে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম: লুসাই পাহাড় থেকে বয়ে আসা কর্ণফুলী নদী এসে থেমেছে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে তৈরি করা বাঁধে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে কাপ্তাই হ্রদের। হ্রদবিধৌত সেই রাঙামাটি শহর ঘুরে এলো ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) অর্থনীতি বিভাগের পুরো পরিবার।

ক্লাস পরীক্ষা নিয়ে বছরজুড়ে ব্যস্ততা। সকালে ঘুম ভাঙার পর থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নিত্য জীবনযাপনের ব্যস্ততা, যা দিনে দিনে একঘেয়েমিতে পরিণত হয়।

এর থেকে মুক্তি পেতে আনন্দময় একটি দিনের জন্য অনেকদিন থেকেই যেন অপেক্ষা সবার।

পাহাড় ও নদীঘেরা রাঙামাটির মনোরম পরিবেশে তেমনি একটি দিন কাটালো চট্টগ্রাম শহরের পাহাড় ঘেরা ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় নগরের প্রবর্তক মোড় থেকে শুরু হয় শিক্ষা সফরের আনন্দঘন দিনটির।

কেউ কেউ বাসে মেতে ছিলো গানে, কেউ জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্যের ছবি তোলায়, কেউ আড্ডায়, কেউ বন্ধুত্বপূর্ণ ঝগড়ায়, কেউবা তুলেছেন সেলফি। ক্যামেরা তাক করলেই আশপাশের সবাই মুখ ঢুকিয়ে ভরিয়ে তুলছিলো ফ্রেম।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন বিবিএ ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক তাবাসসুম চৌধুরী, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ও প্রক্টর অনন্যা নন্দী এবং প্রভাষক তাসমিম চৌধুরী বহ্নি।

ফ্যাকাল্টিদের ক্লাসের বাইরে কাছে পেয়ে দুষ্টুমিতে মেতে ওঠেন আগামী দিনের অর্থনীতিবিদরা। পুরো আয়োজন সফল করতে দায়িত্বের বোঝা কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আসাদুল হক, রক্তিম বড়ুয়া, তানজিনা তাবাসসুম, শোভা, হাবিব, আনিকা, সমুইয়া ও অনন্যা।

শিক্ষার্থীরা রাঙামাটি শহরে পৌঁছে হ্রদঘেরা মনোরম পরিবেশে অবস্থিত ডিসি বাংলো পিকনিক স্পটে গিয়ে ওঠে। সবাই  ডিসি বাংলোর প্রাকৃতিক পরিবেশে মুক্ত বিহঙ্গের মতো মেতে ওঠে আড্ডায়, সেলফিতে।

ডিসি বাংলো থেকে শান্ত ধারায় বয়ে চলা হ্রদের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে সবাই উঠে পড়ে নৌকায়। শুরু হয় নৌভ্রমণ। নদীর ঢেউয়ের সাথে সাথে তারুণ্যের জোয়ারে একটু পর পর দুলে উঠছিলো মনপ্রাণ। প্রায় এক ঘণ্টার নৌভ্রমণ শেষে আবার সবাই ফিরে আসে ডিসি বাংলোয়। সেখানে দুপুরের খাবার সেরে কেউ একটু গা এলিয়ে বিশ্রামের সুযোগ খুঁজতে লাগলো, আর কেউ কেউ দল বেঁধে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলো।

বিকেলে শুরু হয় খেলা। বালিশ খেলা, বেলুন ফোলানো এবং বেলুন ফুটানোর খেলায় মেতে ওঠে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। খেলায় পুরস্কার জিতে নেয় শিক্ষার্থী শোভা, রিমাদ, অনন্যা, ওয়াকাস ও রাসেল। ফ্যাকাল্টিদের মধ্যে পুরস্কার পান তাবাসসুম চৌধুরী।

এরপর ফেরার পালা। পথে রাঙামাটি ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত আরণ্যক হলিডে রিসোর্টে নামলো সবাই। শেষ বিকেলের আলোয় পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ শেষে ফেরার বাসে উঠে বসে সবাই। ক্লান্ত শরীরেও সকালের চেয়ে দ্বিগুণ আনন্দ ছিলো শিক্ষার্থীদের মাঝে।

ফেরার সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রভাষক তাসমিম চৌধুরী বহ্নি অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগ যে একটি পরিবার, তা এই আয়োজনে আবারো প্রমাণিত হলো।

শিক্ষার্থীদের অনুরোধে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সহকারী অধ্যাপক তাবাসসুম চৌধুরী ও প্রক্টর অনন্যা নন্দী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।