মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষকরা নিজ স্বার্থ হাসিলে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকার কারণে তাদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সংকট নিরসন করে গত রোববার (২৭ জানুয়ারি) থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা চালুর আশ্বাস দিলেও কোনো ক্লাস ও পরীক্ষা চালু হয়নি। এতে তাদের শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা কাটছে না। তাই বাধ্য হয়েই তাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে।
হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সফিউল আলম বাংলানিউজকে জানান, গত রোববার (২৭ জানুয়ারি) থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা চালুর বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংকট নিরসন না হওয়ায় ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমেই সংকট নিরসন হলে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চালু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৪ নভেম্বর থেকে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, সহকারী অধ্যাপকদের লাঞ্ছিত ও নারী শিক্ষিকাদের শ্লীলতাহানিকারীদের বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্ট্রার ও ছাত্র উপদেষ্টার বহিষ্কার ও দুই সহকারী অধ্যাপকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছেন নতুন পদোন্নতিপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপকরা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামও। এতে করে গত আড়াই মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলনে থাকায় হাবিপ্রবির বিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসসি) এবং ফিসারিজ অনুষদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এনটি