ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

১০ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৪ হাজার ভবন নির্মাণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
১০ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৪ হাজার ভবন নির্মাণ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গত দশ বছরে (২০০৯-২০১৮ সাল পর্যন্ত) শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পুরনো জরাজীর্ণ ভবনের স্থানে নতুন ভবন পেয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত ১০ বছরে সারাদেশে ২৩ হাজার ৯৭৯টি নতুন ভবন নির্মাণ করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর। এছাড়া এ সময়ে ৭ হাজার ৬৪১টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন সংস্কার করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। আর ১২ হাজার ৬৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির শেষ বৈঠকে উপস্থাপনীয় কাগজপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ৫টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে ঢাকা শহরে ১১টি সরকারি স্কুল ও ৬টি সরকারি কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। খুলনা, বরিশাল ও সিলেট শহরে ৭টি নতুন সরকারি স্কুল স্থাপন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৭০টি জেলা পর্যায়ে স্নাতকোত্তর সরকারি কলেজের একাডেমিক কাম পরীক্ষা কেন্দ্র ও ছাত্র ছাত্রীদের জন্য হোস্টেলসহ ২১৯টি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। ঢাকা মহানগরীর কাছাকাছি এলাকায় ১০টি সরকারি স্কুল নির্মাণ কার্যক্রমের ভূমি অধিগ্রহণ চলমান।

এ সময়ে ৩ হাজার নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ২৫০টি বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ চলমান। সরকারের বিগত মেয়াদে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করা হয়েছে।

নতুনভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী দিক নির্দেশনায় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাইড লাইনে অত্যাধুনিক এসব ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে কাজ করায় কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি স্কুল ও কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে ৬ থেকে ১০তলা পর্যন্ত ভবন করা হচ্ছে। এসব ভবনে বাড়তি সুবিধা হিসেবে লিফট স্থাপন করা হচ্ছে।

নতুন ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুসরণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে সাম্পর্কযুক্ত করে এ সব ভবনের নকশা প্রণয়ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় এ সব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ভবনে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য র‌্যাম্প এবং পৃথক টয়লেট, টানা বারান্দা, পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা ও ঘুলঘুলি স্থাপন, ঢালু ছাদ এবং ছাদে লাল টালি স্থাপন, শহর এলাকায় ছয়তলা, সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত অন্যান্য এলাকায় চারতলা ভবন, হাওর, বিল এবং বন্যা প্রবণ এলাকায় নীচতলা ফাঁকা রেখে পাঁচতলা আশ্রয় কেন্দ্র কাম শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, কোস্টাল এলাকায় ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, পাহাড়ি এলাকায় ভবন প্রটেকশন ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।