শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দিনের পরীক্ষায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে কেন্দ্রে এসে তারা বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা দেয়।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের ১১০ জন পরীক্ষার্থীকে নতুন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে পুরনো সিলেবাসে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। পরে পরীক্ষার শেষ সময়ে তারা ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে শিক্ষকদের অবগত করে।
ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ায় ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ ঘটনার জন্য দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিবকে দায়ী করেন তারা। একই সঙ্গে কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
পুরাতন সিলেবাসের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্র পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে তাৎক্ষণিক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়।
ভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়ার কারণে পরীক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না। তাদের উত্তরপত্র আলাদা করে সঙ্গে রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ বোর্ডে পাঠানো হবে। পরীক্ষার্থীদের ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে কেন্দ্র সচিব শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেনো এ ঘটনা ঘটেছর তা তিনদিনের মধ্যে জানাতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
জিপি