সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বোর্ড জরুরি সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র শিপন আহম্মেদ, শাহীন মিয়া, হৃদয় কুমার ধর, তূর্য হাওলাদার, নাদিম ইসলাম ও আশিকুজ্জামান খান লিমন।
জানা যায়, শনিবার (০২ জানুয়ারি) রাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. রাজেশ হোসাইন শিথিল ও মাহামুদুল হাসান নামে দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে গোবরা গ্রামের একটি মেসে নিয়ে ওই ছয় শিক্ষার্থী র্যাগ দেন। র্যাগিংয়ের ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হলে তা ভাইরাল হয়। যা এখন বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোপালগঞ্জে টক অফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের হল রুমে প্রক্টর ও সহযোগী আধ্যপক আশিকুজ্জামান ভূইয়ার নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রক্টোরিয়াল বোর্ড জরুরি সভায় বসে। সভা শেষে অভিযুক্ত ৬ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে, ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন র্যাগিংয়ের শিকার হওয়া শিক্ষার্থী মো. রাজেশ হোসাইন শিথিল।
আগামীতে যাতে এ ধরনের র্যাগিংয়ের শিকার কোনো শিক্ষার্থী না হয় তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
এনটি