মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নাজমুল হক বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
মামলার আসামিরা হলেন- ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র ঢাকার কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুরের মো. নূরুল হকের ছেলে শিপন আহম্মেদ, নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দেয়াবৈ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনে ছেলে শাহীন মিয়া, টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার বারাপুষা গ্রামের মো. আব্দুল হালিমের ছেলে নাদিম ইসলাম, শেরপুরের নকলা গ্রামের তপন কুমার ধরের ছেলে হৃদয় কুমার ধর, ভোলার কালিনাথ রায়ের বাজারের শুধাংশু ভূষণ হাওলাদারের ছেলে তূর্জয় হাওলাদার ও ফরিদপুরের মধুখালীর পূর্ব গাড়াখোলা গ্রামের মো. আসাদুজ্জামান খানের ছেলে আশিকুজ্জামান লিমন।
>>>আরো পড়ুন...র্যাগ দেয়ায় বশেমুরবিপ্রবি’র ৬ ছাত্র আজীবন বহিষ্কার
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার (০২ জানুয়ারি) রাত ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বশেমুরবিপ্রবি’র কৃষি বিভাগের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র মো. রাজেশ হোসাইন শিথিল ও মাহামুদুল হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে গোবরা এলাকার সোবাহান সড়কের অলি সাহেবের মেসের ভেতরে নিয়ে বেআইনিভাবে আটক করে অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, অশ্লীল বক্তব্য, অশালীন আচরণ, শারীরিক আঘাত ও হুমকি প্রদর্শন এবং ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়। যা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নুরউদ্দিন আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, বহিষ্কৃত ওই ৬ ছাত্রের অভিভাবকদের নামে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বহিষ্কারাদেশ পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এনটি