তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- আবাসিক হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, পরিবেশ পরিষদ গঠন করে ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে সহ-অবস্থান নিশ্চিতকরণ, রাজনৈতিকভাবে বির্তকিত নয় এমন শিক্ষকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন, বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে সুবিধা না দেওয়া, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া এবং ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা।
রাকসু সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাকসু নির্বাচনের সংলাপ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সংলাপে ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীর সাত দফা দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে রাকসু সভাপতি পদে ছাত্র নেতৃত্ব ও হলের বাইরে ভোট কেন্দ্র স্থাপনের দাবি গঠনতন্ত্র বিরোধী। তাই সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে একাধিকবার ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসা হবে’।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখা সভাপতি তাসবির-উল ইসলাম কিঞ্জল বাংলানিউজকে বলেন, ‘সংলাপে আমরা সাত দফা দাবি জানিয়েছি। সংলাপ কমিটি রাকসু সভাপতি পদে ছাত্র নেতৃত্ব ও হলের বাইরে কেন্দ্র স্থাপনের দাবির বিরোধিতা করেছে। সংলাপ কমিটি বলেছে এটা রাকসুর গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। তবে তা সংশোধন করা সম্ভব। ’
এর আগে, রাকসু নির্বাচন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপের জন্য প্রক্টর লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরে গত ২২ জানুয়ারি সংলাপের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলোর গঠনতন্ত্র, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তালিকা আহ্বান করা হয়। এতে সংলাপে বসার জন্য ১০টি ছাত্রসংগঠন তাদের গঠনতন্ত্র জমা দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এসএস/এইচএ/