ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবিতে তিন দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
রাবিতে তিন দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী রাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গন, ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য দাবি লড়াই-সংগ্রাম চলছে। এজন্য পাকিস্তানিরা বাঙালিদের ওপর চালাচ্ছে নির্মম নির্যাতন। 

এক বাঙালিকে হত্যা করার পর মরদেহটি টেনে-হিঁচড়ে ব্যারাকের দিকে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা। নির্যাতনের ভয়ানক দৃশ্য দেখেও পিছ-পা হতে নারাজ বাঙালিরা।

জীবনের বিনিময়ে হলেও বাংলাকেই রাষ্ট্রভাষা করতে দৃঢ় প্রত্যয়ী তারা। ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানিদের বর্বরতার এমনই দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘নির্মম ত্যাগ ও ভাষা’ নামের শিল্পকর্মে।  

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী আহনাফ আবিদের শিল্পকর্ম এটি। ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘মুক্তির সূচনা’ নামক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে এ শিল্পকর্মটি প্রদর্শন করা হচ্ছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার।  

তিনি বলেন, ‘এবারের প্রদর্শনীটি একটু ভিন্ন। প্রতিটি শিল্পকর্মই একুশে নির্ভর। শিল্পকর্মগুলোতে নতুনত্বের ছাপ রয়েছে। মাতৃভাষার জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল শিল্পকর্মগুলোতে ঠিক তার প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠেছে’।

আহনাফ আবিদ বলেন, ‘ভাষা আমাদের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। ভাষা একটি জাতির অস্তিত্ব প্রকাশ করে। বাংলা ভাষায় কথা বলতে আমাদের বহু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। শিল্পকর্মটিতে মূলত সেই দৃশ্যটিই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি’।

চারুকলা অনুষদের প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সংগঠন শিল্পযাত্রা এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে অনুষদের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ৩০টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে।

আয়োজকরা জানান, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত রচিত হয়েছিলো। এ আন্দোলন বাঙালিদের স্বাধীনতা আন্দোলনের নিয়ামক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মূলত ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই তাদের এ আয়োজন। আগামী বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ প্রদর্শনী শেষ হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালেয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা  ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক সুশান্ত কুমার অধিকারী, গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এসএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।