বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে রাকসু সংলাপ কমিটির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা এসব দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- রাকসুর কার্যনির্বাহী কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক এবং তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক পদ যুক্ত করা, ক্যাম্পাসে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করা, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোনো প্যানেল করতে না দেওয়া, ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চর্চা নিষিদ্ধ করা, প্রতিবছর রাকসু নির্বাচন ও নির্বাচনের জন্য তারিখ নির্দিষ্ট করা, নির্বাচনকালীন সাংবাদিকদের নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়া।
সংলাপ শেষে সংগঠনটির রাবি শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দাবির বিষয়ে সংলাপ কমিটি ইতিবাচক বলেই দেখিয়েছেন। আমরা আশা করছি প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের নেতাকর্মীরা যে দাবিগুলো জানিয়েছে সেগুলো অধিকাংশই যৌক্তিক। তবে সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রার্থিতার বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ সময় সংলাপ কমিটির সদস্য সচিব আবু সাঈদ মো. নাজমুল হায়দার, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, বিশ্ববিদ্যালয় প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে রাকসু সংলাপ কমিটি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এসএস/এমএ