তবে নির্বাচনের আগে ভোটাররা ভিপি-জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের মধ্যে উন্মুক্ত বিতর্ক দেখতে চেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা যেকোন প্ল্যাটফরম থেকে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও এমন বিতর্কের সংস্কৃতি চালু রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ছাত্ররাজনীতির পীঠস্থান বলে পরিচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রার্থীদের নিয়ে ‘প্রেসিডেন্টশিয়াল ডিবেট’ আয়োজন করা হয়। এছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও রয়েছেও স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ডিবেট। যেখানে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরার মাধ্যমে ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ প্রসঙ্গে ইমেরিটাস অধ্যাপক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এটি অবশ্যই দরকার। এর মাধ্যমে ছাত্রদের সাথে একটা যোগাযোগ হবে। প্রচারণার জন্য এই বিতর্ক অনুশীলন খুবই ভালো উদ্যোগ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি এটি আয়োজন করে ভালো দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ডাকসু নির্বাচনের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পর প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। লিফলেট আকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি তুলে ধরছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শারমিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দেখেছি ছাত্রসংগঠনগুলো সিলেকশানের মাধ্যমে প্রার্থিতা ঠিক করেছে। এতে অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী বাদ পড়েছেন। আমি মনে করি একটা উন্মুক্ত বিতর্ক হলে কার কী ধরনের যোগ্যতা তা বেরিয়ে আসবে।
এসএম হলের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, যারা ডাকসুর নেতা হবেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ হাজার শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। বিতর্কের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। আমি চাইব ভিপি-জিএস প্রার্থীরা উন্মুক্ত বিতর্কের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য তুলে ধরুক।
বাম জোট থেকে ভিপি প্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এই উদ্যোগকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাব। বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও বিতর্কটা হওয়া উচিত। প্রশাসন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংগঠনের মাধ্যমে উন্মুক্ত বিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। আমরা অংশগ্রহণ করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, এই প্রস্তাবটা ভালো। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রার্থীদের নিয়ে বিতর্ক আয়োজনের ঐতিহ্যটা নেই। এবার যেহেতু সময় কম পরবর্তী সময় থেকে এটি চালু হতে পারে। ছাত্রসংগঠনগুলো চাইলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
এসকেবি/এমজেএফ