কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর চা বাগানের বাসিন্দা সন্তোষ বাংলানিউজকে বলেন, আমি চা জনগোষ্ঠীর সন্তান হিসেবে একমাত্র প্রার্থী হয়েছি ডাকসুতে। আমি জয়ী হলে প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবো।
এছাড়া হল সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল শ্বাসমহল গ্রামের অনুপম দত্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী অনুপম বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এবং প্রগতিশীল ছাত্রজোট সমর্থিত প্যানেল থেকে জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অনুপম দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যন্ত এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছি। আমি নির্বাচনে জয়ী হলে আমার মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ করবো।
ডাকসু নির্বাচনে সিলেট বিভাগ থেকে অনুপম এবং সন্তোষসহ মোট চারজন প্রার্থী এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য দুইজন হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী রাজিব কুমার দাস এবং ছাত্রলীগ সমর্থিত প্যানেলের কাজল দাস। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজিব ডাকসুর সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কাজল লড়ছেন জগন্নাথ হল সংসদে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসুর পাশাপাশি হল ছাত্র সংসদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ১১ মার্চ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হলগুলোতে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৯
এনটি