ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গবিতে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই পরিবহন, ভোগান্তি চরমে

গণবিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
গবিতে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই পরিবহন, ভোগান্তি চরমে

গণবিশ্ববিদ্যালয় (সাভার): ‘মিরপুর থেকে ক্যাম্পাসে আসতে প্রতিদিন রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়। স্টুডেন্ট ভাড়া দিই বলে সিটিং সার্ভিস বাসগুলো নিতে চায় না। নিলেও ঝামেলা করে। প্রায়দিনই কথা কাটাকাটি হয়। এমন অনেক দিন হয় যে ক্লাস শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে বের হলেও সময়মত পৌঁছাতে পারি না।’

ক্ষোভের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন সাভারে অবস্থিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী।  

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্ণ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনও শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন সুবিধার ব্যবস্থা করেনি।

ফলে ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া হাজারও শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পরিবহন ব্যবস্থার জোর দাবি তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।  

পাবলিক বাসে পরিবহন শ্রমিকদের কাছে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া যেন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য। আবার যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থী ভাড়া অর্ধেক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি বাসস্ট্যান্ডে থামতে চায় না লোকাল বাসগুলো। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বাসের দেখা মেলে। ভাড়া নিয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার অভাবে বাসমালিকের দোহাই দিয়েই পরিত্রাণ পেয়ে যাচ্ছেন বাসের হেল্পার আর চালকরা।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ আসেন উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, মিরপুর, সাভার ও মানিকগঞ্জ এলাকা থেকে। সাভার-আশুলিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন হওয়াতে সকালে বাসে যাত্রীর চাপ থাকে বেশি। দূর থেকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে চান তারা পড়েন বিড়ম্বনায়। অনেকেই ক্লাসে সময়মত উপস্থিত হতে পারেন না।

মানিকগঞ্জ থেকে যাতায়াত করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইংরেজি বিভাগের ১ম বর্ষের এক ছাত্রী বলেন, বাসা থেকে বের হয়েই প্রতিদিন সকালে বাসের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকার পরেও সিটিং সার্ভিস বাসগুলো নিতে চায় না। বাধ্য হয়ে লোকাল বাসে উঠি। অনেক সময় বিব্রত অবস্থায় পড়ি। যদি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থাকতো তবে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা করা হবে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগে আমাদের দূর থেকে প্রতিদিন এসে ক্লাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। তাই প্রশাসন ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা করেনি। তবে এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই শিক্ষার্থীদের সব রকম সুবিধা করে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। আমি বিষয়টি ট্রাস্টি বোর্ডের মিটিংয়ে গুরুত্বের সঙ্গে বলবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯ 
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।