সোমবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দফতর ও বিভাগের কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রার দফতরের সামনে অবস্থান নেন।
কর্মকর্তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো পদোন্নতি/আপগ্রেডেশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্থায়ীকরণ অবিলম্বে সম্পন্ন করা, যেসব কর্মকর্তার পদোন্নতি/আপগ্রেডেশন বোর্ড হয়নি তাদের বোর্ড দ্রুত সম্পন্ন করা, যেসব কর্মকর্তার পদবী বদল করা হয়েছে তাদের স্বপদে ফিরিয়ে আনা, সরকারি নিয়মে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম প্রস্তুত করা, প্রতিটি দফতরকে নিজস্ব কাজ বুঝিয়ে দিয়ে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করা, প্রশাসনিক ভবনে কক্ষ বরাদ্দের নিমিত্তে যে কমিটি গঠিত হয়েছে তাতে জ্যেষ্ঠতার নীতি অবলম্বন করা, ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন পরিশোধ করা, হয়রানিমূলক বদলীকৃত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দফতরে পুনর্বহাল করা, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে স্বতন্ত্রতা ও গোপনীয়তা রক্ষা করা এবং রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অধীনস্থ কর্মকর্তার নজরদারি বন্ধ করা।
এবিষয়ে বেরোবির অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, উপাচার্যের পিএস আমিনুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দফতরকে অকার্যকর করে রেখেছেন। তিনি একাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন দফতরের প্রধানের ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়াও শতাধিক কমিটিতে নিজেকে যুক্ত করেছেন তিনি। আর ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাম মোস্তফা সংস্থাপন শাখার বিভিন্ন ফাইল গোপন করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তাই এই দুই কর্মকর্তাকে বদলিসহ ১১ দাবিতে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্মবিরতি পালন করেছে।
বেরোবি উপাচার্যের পিএস আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার অপসারণ দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে। তারা সুবিধা ও নিয়োগ বাণিজ্য করতে না পারায় এমনটা করছেন। এটি উপাচার্যের সিদ্ধান্তের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা আরও সময় চেয়েছিলাম কিন্তু তারা সময় দেয়নি। তিনি অভিযোগ করেন বর্তমানে ক্যাম্পাসে অফিস করার পরিবেশ না থাকায় আমি সেখানে যাচ্ছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
আরআইএস/