দিবসটি উপলক্ষে বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছে শোকাবহ সাজে। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে শহীদ মিনার চত্বর হয়ে কটকা স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কের দু’পাশের সারিবদ্ধ গাছে কালো কাপড় দিয়ে তার ওপর শহীদ শিক্ষার্থীদের নাম লিখে শোকের আবহ তৈরি করা হয়।
সকাল সাড়ে দশটায় কালোব্যাজ ধারণ করে বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বর থেকে শোকর্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে দিয়ে পুনরায় হাদী চত্বর হয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভে পৌঁছায়। শোকর্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট ও বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।
পরে কটকা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের আগে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যায়ের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস।
এর পরপরই কটকা স্মৃতিস্তম্ভে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রথমে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, অতঃপর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপত্য ডিসিপ্লিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, বিভিন্ন হল, শিক্ষক ও ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
পরে উপাচার্য এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এদিনটি আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থে শোক ও বেদনার। আমরা চাই ভবিষ্যতে যেন আর কোনো মেধাবী সন্তান এভাবে না হারিয়ে যায়। কারণ, তারা ছিলো মেধাবী এবং দেশের জন্য, তার পরিবারের জন্য অনেক কিছু করতে পারতো।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেনো জীবনের সবক্ষেত্রে ঝুঁকি বিবেচনা করে এবং কোনো অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ না নেয়।
পরে তিনি সমুদ্রগর্ভে নিমজ্জিত হয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থীদের স্মরণে একটি বৃক্ষের চারা রোপন করেন এবং প্রদর্শিত চিত্র ঘুরে দেখেন।
ডিসিপ্লিন প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মাহফুজ উদ-দারাইন সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে পূর্বাহ্নের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়ে দোয়া মাহফিল/প্রার্থনা, বাদ যোহর এতিমদের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজ, বিকেল সাড়ে ৫ টায় কটকা স্মৃতিসৌধে শোকসভা ও স্মৃতিচারণ। এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং সন্ধ্যা ৭ টায় তথ্যচিত্র প্রদর্শন।
বাংলাদেশসময়: ১৪১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/