ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পরিপূর্ণ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে শেহাবি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৯
পরিপূর্ণ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে শেহাবি  বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মঞ্চে শেহাবি উপাচার্য ড. রফিকউল্লাহ খানসহ অতিথিরা।

নেত্রকোণা: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (শেহাবি)। এটা হবে বাংলাদেশের সম্পূর্ণ ও ব্যতিক্রমধর্মী একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য যা যা করণীয় সব বিষয় নিয়েই কাজ করা হবে। 

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নেত্রকোণা শহরের রাজুর বাজারে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে (কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগামীর বিশ্ব হবে প্রযুক্তিনির্ভর। শুধুমাত্র পাঠ্যবই বা গতানুগতিক সিলেবাস দিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যাবে না। এক্ষেত্রে পরিবর্তিত পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি নির্ভর অর্থাৎ পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।  

ইন্টারনেটকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞানভাণ্ডার উল্লেখ করে এই তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বলেন, ইন্টারনেটের সুফলকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে এখানে (অস্থায়ী ক্যাম্পাস) দ্রুত একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে। একমাসের মধ্যে ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগও দেয়া হবে।  

বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। আর সারাবিশ্বে অনুসরণ করার মতো সেই দেশকে তৈরি করছেন তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।  

সভাপতির বক্তব্য দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান।  দেশের উন্নয়নে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা সংযুক্তি করে।  

‘এরই মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেতে শুরু করেছে মানুষ। শুধু তাই নয়, জনগণের দোরগোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনা রূপকল্প-২০২১, রূপকল্প-২০৪১ ও ২১০০ সালের বদ্বীপ মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। ’

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা বলেন তিনি।  

সভায় বিশেষ অতিথি সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। এক্ষেত্রে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলে সেই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের অবদান রাখতে হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রফিকউল্লাহ খান বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় হবে গবেষণাধর্মী ও আন্তর্জাতিকমানের একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে। এখানকার শিক্ষার্থীরা হবে বিজ্ঞানমনষ্ক। পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিবেশ প্রয়োজন তা শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে।

শেহাবি রেজিস্ট্রার কাজী নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।