বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে তার সহপাঠীরা।
রাফি জিহাদ উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশ্বহর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য একরামুল হক জাদুর ছেলে।
ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও চিকিৎসকরা জানান, বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক নূর মোহাম্মদের ভাগিনা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আজিজুল ইসলাম বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন বাকবিতণ্ডায় জড়ায় একই ক্লাসের শিক্ষার্থী রাফি জিহাদ। এ বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠান প্রধান আতাউর রহমান আজিজুলের অভিভাবকদের নিয়ে বিদ্যালয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে জিহাদকে ডেকে জোড়া বেত দিয়ে বেদম পেটান আতাউর রহমান।
এতে শিক্ষার্থী রাফি জিহাদ অচেতন হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর নিজেদের দোষ ঢাকতে সাদা কাগজে রাফি জিহাদের সই নেন সহকারী শিক্ষক নুর মোহাম্মদ। অসুস্থ রাফি জিহাদকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় সহপাঠীরা আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের বেডে অসুস্থ শিক্ষার্থী রাফি জিহাদ জানায়, বৈঠকের নামে অফিস কক্ষে তাকে ডেকে নিয়ে জোড়া বেত দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। আইনি কোনো ব্যবস্থা যাতে না নিতে পারি সেজন্য একটি সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করে ওই শিক্ষার্থী।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্ব থাকা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেতের আঘাত চিহ্ন রয়েছে। বাম চোখের নিচেও আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে মহিষাশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিষ্ঠান প্রধান আতাউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুষ্টুমি করায় রাফি জিহাদকে একটু শাসন করা হয়েছে মাত্র। তবে হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি তার জানা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
জিপি