বুধবার (২৭ মার্চ) দিনগত গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হাসিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
ওই নোটিশে আরো উল্লেখ করেন, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে উদ্ভূত অনভিপ্রেত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার স্বার্থে উপাচার্যের ক্ষমতা বলে ২৮ মার্চ থেকে বরিশাল বিশ্বাবদ্যালয়ের সব ক্লাস, পরীক্ষাসহ যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার জোরদার আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশের পর রাত তিনটায় শিক্ষার্থীরা সবাই হল ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসেন এবং বিক্ষোভ করে এই নোটিশের প্রতিবাদ জানান।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলন থামাতে ভিসি নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। ভিসির নৈতিক পরাজয় হয়েছে। তার পদত্যাগসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উত্তাপিত দাবিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৮ মার্চ সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি চলবে। পাশাপাশি কেউ হলও ছাড়ছে না বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এমএস/জেডএস