ঢাকা, রবিবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ মে ২০২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিক্ষা

ছিনতাইয়ের অভিযোগে জাবির ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৭, এপ্রিল ১, ২০১৯
ছিনতাইয়ের অভিযোগে জাবির ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত লোগো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): ছিনতাইয়ের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষ, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মোহাম্মদ আল রাজি, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান পাটোয়ারী, দর্শন বিভাগের মোকাররম শিবলু ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ মোস্তাক সৈকত।

এর মধ্যে সঞ্জয় ঘোষ ছাড়া বাকিরা ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আর সঞ্জয় ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ বলেন, রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রক্টর অফিসে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আতিকুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বহিষ্কৃত পাঁচ শিক্ষার্থী কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। একই সঙ্গে বিষয়টি বহিষ্কৃতদের বাড়িতে অবহিত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ মার্চ ভোরে বহিরাগত মনির সরদার নামে এক ব্যক্তি বিশমাইল এলাকা দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। ওই সময় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা তাকে আটকে তার সঙ্গে থাকা নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন।  

একই সঙ্গে ইজিবাইক যোগে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়। বহিষ্কৃতরা সেখানে তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করেন এবং বেধড়ক মারধর করেন। পরে তারা মনিরের স্ত্রীর কাছে মুঠোফোনে ১ লাখ টাকাও দাবি করেন।  

খবর পেয়ে মনিরের শ্বশুর বাড়ির লোকজনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মচারী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তিনজনকে আটক করা হয়। আর বাকি দুইজন পালিয়ে যান। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এসএ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।