মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা ভিসি বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ববি ডিবেটিং সোসাইটির (বিইউডিএস)একটি অনুষ্ঠানে ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে শিক্ষার্থীদের গালি দেওয়ার একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়েছে। যে অডিও ক্লিপ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং সম্প্রতি ভিসির দেওয়া লিখিত বক্তব্যকে মিথ্যাচার দাবি করে তার পদত্যাগ চেয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের মাথায় ভিসি দুঃখ প্রকাশের নামে যে লিখিত বক্তব্য পেশ করেছেন, সেখানে তিনি রাজাকার সদৃশ শব্দ ব্যবহার করেছেন আর যে ঘটনার দিন অনুষ্ঠানে দেওয়া তার বক্তব্যের যে অডিও প্রকাশ পেয়েছে সেখানে ভিসি সরাসরি শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে গালি দিয়েছেন। ভিসি মিথ্যাচার চালিয়ে নিজের ইমেজ ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন।
এর আগে সোমবার (১ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা ভিসিকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। এ সময় ভিসি ড. এসএম ইমামুল হককে প্রত্যাহার করে নেওয়া না হলে আন্দোলনকারীরা কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের না জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে গালি দিলে আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় হলের ছাত্র-ছাত্রীদের ডাইনিং বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি মেডিকেল সুবিধাও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এ বন্ধের পরও হল ত্যাগ না করে টানা আটদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এমএস/এএটি