মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্য ড. ইমামুল হক নতুন বিবৃতি দিয়েছেন।
যেখানে তিনি বলেছেন, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমার বক্তব্যের মধ্যে অনুক্ত একটি শব্দ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়।
‘উদ্ভুত পরিস্থিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হই। এই সিদ্ধান্তটি নিতে আমার অনেক মানসিক কষ্ট করতে হয়, কারণ আমি নিজেও একজন শিক্ষক, শিক্ষাকার্যক্রম চালু রাখাই আমার কাজ। একই কারণে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। ’
তিনি বলেন, পরবর্তীতে গত ২৯ মার্চ প্রেস রিলিজের মাধ্যমে আমার বক্তব্যের কারণে কেউ আহত হয়ে থাকলে তার জন্য আমি দুঃখপ্রকাশও করি। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার নামে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা মেরে রেখে শিক্ষাকার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে। এ অবস্থায় একাডেমিক কার্যক্রম চালু করাও সম্ভব হবে না। আমি আমার শিক্ষার্থীদের নিশ্চিত করতে চাই, অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণবাংলার গর্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা কাম্য।
এদিকে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
তবে দুপুরের দিকে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (বিইউডিএস) একটি অনুষ্ঠানে ভিসির কণ্ঠে রাজাকারের বাচ্চা বলে শিক্ষার্থীদের সম্বোধন করার একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়েছে। যে অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসি মিথ্যাচার চালিয়ে নিজের ইমেজ ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন। ভিসির পদত্যাগের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন এবং গতকালের দেওয়া ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে কঠোর আন্দোলনে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এমএস/এএ