টানা আন্দোলনের নবম দিনের মাথায় বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে দেয়াল লিখনের এ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এসময় একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা এক এক করে রক্ত দিতে থাকেন এবং সেই রক্ত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান লেখা হয় এবং ক্যাম্পাসজুড়ে পোস্টারিং করা হয়।
এর আগে প্রতিদিনের মতো সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের প্রশাসনিক শাখার সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। ববি ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সেখানে স্লোগান দেন তারা।
এর আগে শিক্ষর্থীরা গত ১ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। এর পরপরই তারা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
দুপুরে ২টায় ওই আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হয়। তবে আল্টিমেটামের মেয়াদ শেষ হলেও ভিসি পদত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে ভিসি ড. এসএম ইমামুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কোনো অবস্থাতে পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। এছাড়া শিগগিরই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। এদিকে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমানের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আলোচনার জন্য ক্যাম্পাসে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের না জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের সন্তান বলে গালি দিলে আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে এই বন্ধের পরও হল ত্যাগ না করে টানা ৯ দিন আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
এমএস/এএ