প্রাতিষ্ঠানিক কর্মযজ্ঞ থেকে শুরু করে গৃহস্থালির দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড- কীভাবে কম্পিউটার অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে সুচারুভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়ে দীক্ষা দেওয়া হবে কর্মশালায়।
শেখানো হবে অ্যাপ ও রোবট তৈরির বিভিন্ন দিক।
আগ্রহীরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ও রোবোটিক্স জাতীয় কর্মশালার প্রতিনিধির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
এছাড়া মোবাইল ব্যাংককিং বিকাশ (০১৬৮৫৩১২০৫৮) অথবা রকেটের (০১৬৮৫৩১২০৫৮৬) মাধ্যমে ফি জমা ও ম্যাসেজের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।
রেজিস্ট্রেশন করতে মোবাইল থেকে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে প্রার্থীর নাম <স্পেস> প্রতিষ্ঠানের নাম <স্পেস> বিকাশ বা রকেট নাম্বার <স্পেস> ট্রানজেকশন আইডি লিখে ০১৬৮৫৩১২০৫৮ নাম্বারে পাঠাতে হবে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট, টি-শার্ট, ওয়ার্কশপ কিট, মধ্যাহ্নভোজ এবং সকাল ও সন্ধ্যাকালীন নাস্তা দেওয়া হবে।
কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেবেন ফেনী ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলোজির সভাপতি, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির ট্রেজারার ড. লাফিফা জামাল, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আইওটি এক্সপার্ট ও সহযোগী অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ রোবোটিক্স ফাউন্ডেশনের রিচার্স অ্যান্ড ডেপেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. আমিরুল ইসলাম।
কর্মশালা আয়োজক কমিটির আহ্বায়াক, ফেনী ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ হোসেন পারভেজ বলেন, আইওটি হলো এমন একটা নেটওয়ার্ক যেখানে ভৌত জিনিসিপত্র, যেমন: যানবাহন, গৃহস্থালির জিনিসপত্র, কৃষি কাজের যন্ত্রপাতি, ইত্যাদি একটা সিস্টেমের মধ্যে থাকে। জিনিসগুলো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, সফটওয়্যার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে এবং একটা বস্তু থেকে অন্য বস্তুতে তথ্য আদান-প্রদান হবে। এটা আসলে এমন কিছু ওয়েব-অ্যানাবলড ডিভাইসে সমন্বয়ে গঠিত যা এমবেডেড সেন্সর, প্রসেসর ও কমিউনিকেশন হার্ডওয়ার ব্যবহার করে আশপাশ থেকে তথ্য গ্রহণ করে এবং এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে পাঠায়। এতে সক্রিয়ভাবে কার্য সম্পন্ন হয়।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ বিলিয়ন অবজেক্ট আইওটির অন্তর্ভুক্ত হবে। আইওটির অগ্রগতি নিয়ে এইচপির একটা ছোট জরিপে দেখা যায়, প্রতিবছর চমকপ্রদভাবে আইওটির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় এক ট্রিলিয়ন অবজেক্ট আইওটি’র অন্তর্ভুক্ত হবে।
এতে এ অ্যাপলিকেশন তৈরি শিখতে পারলে কাউকে আর চাকরির পেছনে দৌঁড়াতে হবে না। ওয়ার্কশপটি খুবই যুগোপযুগী। আমরাও প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও কলেজের অনেক শিক্ষার্থী এরই মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। তবে আমাদের আসন সংখ্যা সীমিত। তাই হয়ত সবাইকে সুযোগ দিতে পারবো না।
কর্মশালার উদ্বোধনী ও সার্টিফিকেট প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ফেনী ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ।
কর্মশালার মিডিয়া পার্টনার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ও দৈনিক ফেনীর সময়। এছাড়া সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে রকমারি.কম।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৯
এসএইচডি/আরআইএস/