শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিন্ডিকেট সভা শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা যায়, আইসিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেকুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় রয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার চিঠি পাঠানো হলেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। এরফলে সিন্ডিকেট সভায় সব সদস্যের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
একই অভিযোগ আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী ওমর ফারুকের বিরুদ্ধেও। তিনি দীর্ঘদিন আমেরিকায় অবস্থান রয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার চিঠি দেওয়ার পরও তিনি কর্মক্ষেত্রে আসেননি। এরফলে সিন্ডিকেটে উপস্থিত সদস্যদের সম্মতিতে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
এছাড়াও অবসরের আবেদনের প্রেক্ষিতে মুনসুর নামে এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়। মুনসুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত। জানা যায়, এই কর্মকর্তা গাড়ির তেল চুরির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত। বহিষ্কার হওয়ার কিছুদিন পরপরই প্রশাসনের কাছে স্বেচ্ছায় অবসর চেয়ে আবেদন করেন ওই কর্মকর্তা।
এদিকে, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই শিক্ষকের পদাবনতি দিয়েছে সিন্ডিকেট। সে অনুযায়ী ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদকে অধ্যাপক পদ থেকে সহযোগী অধ্যাপকে এবং বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাকি বিল্লাহ বিকুলকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে অবনমিত করা হয়।
এছাড়াও, সিন্ডিকেটে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীর করা মানসিক নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারকে ওই ছাত্রীর যেকোনো কোর্সের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় সিন্ডিকেট সভায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
এনটি