সমঝোতা বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তে সহমত প্রকাশের প্রায় দেড়ঘণ্টা পর শনিবার (০৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব মিলানায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
>>>আরও পড়ুন... বৈঠকের সিদ্ধান্তে একমত ববি শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত বলেন, আমরা আগেই বলেছিলোম বৈঠকে আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটা অংশ এসেছি।
কিন্তু তার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ কিছু লোক আন্দোলন স্থগিতের অপপ্রচার করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই উপাচার্যের পদত্যাগ কিংবা ছুটির বিষয়ে লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সে অনুযায়ী রোববার (০৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। পাশাপাশি পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ববির শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন, জহিরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বরিশাল সার্কিট হাউসে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি ও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
>>>আরও পড়ুন...ববি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে গণঅনশনে শিক্ষার্থীরা
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে গালি দিলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে এই বন্ধের পরও হল ত্যাগ না করে টানা ১২ দিন আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা বিরাজ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এমএস/এনটি