বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনগুলো। বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করে।
পরে মিছিল সহকারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত হন তারা। সেখানে বক্তব্য দেন-ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনু নির্যাতনের পর সারাদেশে বিচারের দাবি ওঠলেও এখনো বিচার হয়নি। বর্তমানে সেরকম ঘটনা অহরহ ঘটেছে। ঘরে যেমন নিরাপদ নয়, তেমনি সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নিরাপদ নয় মানুষ। স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও নিরাপদ বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হয়নি। ফেনীর ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার দায়ে সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বরখাস্ত না করে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এরকম চলতে থাকলে মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে।
দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে নুর বলেন, অতি দ্রুত নুসরাত হত্যা সুষ্টু বিচারের মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে। যদি সেটা করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বড় হলে রক্ষা হবে না। সময় থাকতে অন্যায় অনিয়ম দূরীকরণে ব্যবস্থা নিন।
ফারুক হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র সমাজ ঘরে বসে থাকবে না। দুর্বার গতিতে রাজপথে নেমে আসবে।
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নুসরাতের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ফেনী (ডুসাফ)। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি এবং ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের, ঢাবি সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক মুনির হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল শামীম, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, ছাত্রলীগের মাস্টারদা’ সূর্য সেন হল শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন পারভেজ প্রমুখ।
সাদ বিন কাদের বলেন, নুসরাতের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে রাস্তায় যারা নেমেছিল তারা যাদের মদদে নেমেছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং নুসরাতের মৃত্যুর জন্য মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করছি।
মুনির হোসেন বলেন, এ ঘটনাকে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। নুসরাত হত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রাঘব বোয়ালসহ সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এ ঘৃণ্য বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলটি বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/