বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে চারুকলা চত্বরে মুক্তমঞ্চে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কারুশিল্প উৎসাহিত করতে চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্রে শ্রেষ্ঠ ১৮ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়।
রাজশাহী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় অধুনালুপ্ত পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি মহসীন খানকে গুণীজন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, সামনে পহেলা বৈশাখ। বাঙালি জাতির আত্মার সঙ্গে মিশে আছে এ উৎসব। বাঙালির যে চিরাচরিত সংস্কৃতি তাকে ধরে রাখতে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তাছাড়া সমাজের নানা চিত্র তুলে ধরে চারুকলার শিক্ষার্থীরা বেছে নেয় রং তুলি। সমাজের নানা অসঙ্গতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নিরব বিপ্লবের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে চিত্রকলা।
তিনি বলেন, বাক্য দিয়ে, অঙ্ক দিয়ে যা প্রকাশ করা যায় না, তা চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। সমাজের দুর্দান্ত খারাপ মানুষের যে প্রকাশ তা চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরে। সমাজের অন্যান্যদের চাইতে তারা সমাজকে আলাদাভাবে দেখে। আগে মানুষ বিশ্বাস করতো ছবি আঁকলে পাপ হয়। কিন্তু এসব ধর্মান্ধতা দিয়ে সমাজের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। আর সমাজের উন্নয়ন করতে না পারলে চারুকলা পড়ার কোনো সার্থকতা থাকবে না।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুশান্ত কুমার অধিকারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা দেন সহযোগী অধ্যাপক আবু তাহের। অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থী তাসফিহা তাবাসসুম সুমাইয়ার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেষে চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
জিপি