শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় প্রধান ফটকের সামনে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন। যা চলবে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি গানও গাইতে শোনা যায়।
এদিকে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কর্মসূচির পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানা গেছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। আর সাধারণ বাঙালির কথা চিন্তা করেই আমরা বৈশাখ পালন পর্যন্ত নতুন কোনো কর্মসূচি দিতে চাইছি না। আমরা নিজেরাও এখন থেকেই বৈশাখ পালনের প্রস্তুতি নেবো। পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের সব শিক্ষার্থীদের দাবি বৈশাখের আগেই যেন ভিসির পদত্যাগ হয়, যার মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আনন্দ উৎসবে বৈশাখ পালন করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা চাইছে পহেলা বৈশাখে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করতে। কর্মসূচির বিষয়বস্তু চূড়ান্ত হতে আরো সময় লাগবে জানিয়ে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে কর্মসূচি যাই হোক আমাদের সব শিক্ষার্থীদের দাবির কথা ফুটিয়ে তোলা হবে।
অপর শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন বলেন, ভিসির পদত্যাগ নয়তো পূর্ণ মেয়াদের ছুটির বিষয়ে লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের পথ থেকে পিছু হটার কোনো কারণ নেই। আজ ১৮ দিন ধরে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচি চলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনের সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। যাদের মধ্যে কয়েকজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
এমএস/জেডএস