শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ঘটনাস্থলে মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকারিয়া রহমান, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আকরাম হোসাইন মজুমদার, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আছাদুজ্জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. তালুকদার মো. লোকমান হাকিম উপস্থিত হন।
এসময় উপস্থিত শিক্ষকরা এ সমস্যা নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বরাবর লিখিত দিতে বলেন। পরে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা শনিবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান না করলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়ে হলে ফেরে।
জানা যায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিদ্যুৎ যায়। টানা পাঁচ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর রাত ১২টায় বিদ্যুৎ আসে।
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কক্ষে জেনারেটরের ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যা থেকেই অন্ধকারের মধ্যে কাটাতে হয়। বেশ কয়েকটি বিভাগে শনিবার কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় বিপাকে পড়েন তারা। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের বেশ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টানা ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ নেই। কাল আমাদের কোর্স ফাইনাল পরীক্ষা। শিক্ষাজীবনের পরীক্ষার আগের রাতে প্রস্ততিটাই আসল। অথচ সন্ধ্যা থেকে একবারের জন্যও টেবিলে বসতে পারিনি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ডাইনিং ও পরিবহন সমস্যা চলে আসছে। প্রশাসনকে জানানোর পরও এর কোনো প্রতিকার হচ্ছে না। এ অচল অবস্থা চলতে থাকলে ক্যাম্পাস আন্তর্জাতিকীকরণের পথ হারাবে।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল বাংলানিউজকে বলেন, কুষ্টিয়ার বটতৈল এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। সেটা ঠিক করতে একটু সময়ও লেগে যায়। ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
এএ