মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তারা এ কর্মবিরতি পালন করেন।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- শিক্ষকদের উচ্চতর ডিগ্রির জন্য সিন্ডিকেট অনুমোদিত বেতন বৃদ্ধি বা বিশেষ বেতন দেওয়া, বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রুয়েট কর্তৃপক্ষ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষকদের প্রারম্ভিক ও অনুপার্জিত ইনক্রিমেন্ট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। ১১ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন একটি এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেন। তবে শিক্ষক সমিতির দাবি এটি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শামীমুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বুয়েট, কুয়েট, হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা যোগদানের পর থেকে চারটি ইনক্রিমেন্ট পায় অথচ রুয়েটের শিক্ষকেরা এসব থেকে বঞ্চিত। শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে এসব দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়ন করছে না। তাই শিক্ষকেরা ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে বিরত থেকে দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করেছেন।
১৭ এপ্রিল (বুধবার) একই দাবিতে আড়াই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শেখ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনায় তাদের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করা হয়েছে। চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু করতে পারবে না। তারা চাইলে ইউজিসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাতে পারেন। ’
আর ব্যক্তিগত স্বার্থে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে কেউ কেউ এসব করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শিক্ষক সমিতির কর্মসূচিকে সাধারণ শিক্ষকরা প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগের যথারীতি রুটিন অনুযায়ী ক্লাস হয়েছে। তবে দু-একটি বিভাগে ক্লাস হচ্ছে না বলে খবর পাওয়া গেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
জিপি