বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালক একেএম সাফায়েত আলম ওই শিক্ষককে বহিষ্কার করেন। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রীর চাচার মৌখিক অভিযোগ পেয়ে স্কুলে যাই। তখন স্কুল কমিটির সভাপতি কাজল চ্যার্টাজি, প্রধান শিক্ষক মোজাম্মিল হোসেন খান ও ছাত্রীর মা-বাবার সামনে ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করলে সে ঘটনার বর্ণনা করে।
ওই ছাত্রীর বাবা জানান, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় তার মেয়ে। তখন অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা এসে পৌঁছায়নি। একা থাকার সুযোগে শিক্ষক মোজাম্মিল তার ব্যক্তিগত কক্ষে নেন ছাত্রীটিকে। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানগুলো স্পর্শ করে। এসময় তাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করলে সে ওই কক্ষ থেকে দৌড়ে বের হয়ে পাশের বাড়ির এক নারীর শরণাপন্ন হয়। ওই নারী ছাত্রীর মায়ের কাছে খবর পাঠালে তিনি এসে ছাত্রীকে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক মোজাম্মিল আগেও অনেক ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করছেন বলেও উল্লেখ করেন ওই ছাত্রীর বাবা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচা বলেন, খবর পেয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে জিজ্ঞাসা করেন। এসময় প্রধান শিক্ষক তার কৃতকর্মের জন্য তিনিসহ ছাত্রীর বাবা-মার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
জিপি