বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে আট দফা দাবিতে আলাদা কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শিক্ষক সমিতির ব্যানারে সকাল ১১টা থেকে দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার কোনো পরিবেশ নেই। আইন করা হয় শিক্ষাপরিপন্থী, চলে স্বেচ্ছাচারিতা। এ কারণে আট দফা দাবি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আট দফার মধ্যে রয়েছে সিন্ডিকেটের ৫৮তম সভা অনুসারে শিক্ষকদের পদন্নোতিতে জটিলতা শুরু হওয়ায় তা বাতিলের দাবি। এছাড়া শিক্ষকদের সিনিয়রিটি এবং চেয়ারম্যান নিয়োগে অনিয়ম দুর করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি শিক্ষাছুটিতে অনিয়ম এবং পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধেরও দাবি রয়েছে। এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ১১ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় বিক্ষোভ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেন। এর প্রতিবাদে ২৬ মার্চ থেকেই ভিসির পদত্যাগের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে নেমেছে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসি পদত্যাগ অথবা পূর্ণ মেয়াদে ছুটির লিখিত আবেদন করলেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে, অন্যথায় আন্দোলন চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এমএস/একে/আরআইএস/