বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ব্যানারে মানববন্ধনে বৃহস্পতিবার ( ১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন শুরু হয়।
দেড়ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া।
বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি সরদার কায়সার আহমেদ, সাবেক সভাপতি আরিফ হোসেন, মোহাম্মদ তানভীর কায়সার, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি লোকমান হোসেন, আল আমিন, শফিকুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, তনুশ্রী ভট্টাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বরুণ কুমার দে, তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি হারুণ অর রশিদ সাধারণ সম্পাদক বনি আমিনসহ চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের নেতারা প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার পরিবেশ নেই। এখানে নতুন নতুন নিয়ম, আইন শিক্ষক-শিক্ষর্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোনো কিছুতে কোনো নিয়ম বা আইন মানা হয় না। উপাচার্যর নিজের করা আইন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। সবার কুন্ঠরোধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ আমরা কেউ চাই না এই উপাচার্য আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসুক এবং ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করুক। আমরা চাই ক্যাম্পাসে শিক্ষার অবস্থান ফিরে আসুক।
বক্তারা বলেন, আমাদের দাবি একটাই হয় উপাচার্যের কর্ম মেয়াদ ২৮ মে পর্যন্ত ছুটিতে যাক নতুবা তিনি পদত্যাগ করুক। আর দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
কর্মচারী নেতারা বলেন, উপাচার্য গত ১০ এপ্রিল ছুটির দরখাস্ত দিয়েছেন যেখানে তিনি ১১ এপ্রিল থেকে ১৫ দিনের ছুটিতে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ১৬ এপ্রিল উপাচার্য স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'টি ব্যাংকিং হিসাব নম্বর থেকে সব ধরনের অর্থ প্রদান স্থগিত করার কথা। যার একটির মাধ্যমে প্রকল্পের ব্যয়ের টাকা আর একটি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।
কর্মচারী নেতারা বলেন, তিনি এর মাধ্যমে আমাদের এক ধরনের শাসিয়ে দিয়েছেন। কারণ তিনি ছুটিতে গিয়ে তো আর কোনো কাজে সই করতে পারেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া জানান, ২৬ মার্চ থেকে টানা আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে।
১০ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের অনিয়মের ৮ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সহমত পোষণ করে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগসহ ১২ দফা দাবিতে নানান কর্মসূচি পালন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (গ্রেড: ১৭-২০) কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ। ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যার যার অবস্থান থেকে একমত পোষণ হয়েই উপাচার্যর পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের নেতাদের না দেখা গেলেও বরুণ কুমার দেসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মানববন্ধনে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এমএস/এএটি