বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিষয়টি জানার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানায়, গত ১০ এপ্রিল উপাচার্যের ছুটির দরখাস্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে সোনালী ব্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের অর্থ না দেওয়ার জন্য ব্যবস্থাপককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনাকে (ব্যবস্থাপক) জানাচ্ছি যে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব নম্বর (০৩৩৮১১০০০০০০১) ও (০৩৩৮১১০০০০০০২) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যাবতীয় অর্থ প্রদান (ইতোপূর্বে প্রদত্ত সব চেকসমূহ) স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করছি’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা বরুণ কুমার দে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যার মধ্যে এ দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যয় ও স্টাফদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে। যাবতীয় অর্থ দেওয়া বন্ধ মানেই বেতন-ভাতা অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নেতাদের দাবি, ববি’র শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন দমাতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, উপাচার্যের সিদ্ধান্তটি অমানবিক। তবে এতে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবির আন্দোলন আরো বেগবান হবে।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকায় অবস্থানরত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এমএস/একে/এসএইচ