ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘যুব সমাজকে জনসম্পদে রূপান্তর করাই বড় চ্যালেঞ্জ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৯
‘যুব সমাজকে জনসম্পদে রূপান্তর করাই বড় চ্যালেঞ্জ’

যশোর: ‘দেশের বিরাট যুব সমাজকে জনসম্পদে রূপান্তর করাই এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ’ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।

রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে আয়োজিত ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা: প্রেক্ষিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের বিরাট জনসম্পদকে জনশক্তিতে রূপান্তর করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, আমরা যারা শিক্ষা জগতে আছি, এটা করার দায়িত্ব তাদের।

সুতরাং আমাদের শুধু ডিগ্রির জন্য শিক্ষা দিলে হবে না, কার্যকর শিক্ষা দিতে হবে। এ জনসম্পদকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।  

তিনি বলেন, এ জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপরই সরকারের ফোকাস। বর্তমান সরকারের আমলে যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে সাতটিই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপরই সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করছেন সরকার। আমাদের কাজ হচ্ছে এসব জায়গায় ঠিকভাবে পারফরম্যান্স হচ্ছে কি-না, তার উপর নজর দেয়া।

অন্যদিকে, অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরির উপর জোর দিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক রেমিটেন্স আসে। অথচ চলে যায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। কারণ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারছি না। যদি আমাদের টেকসই উন্নয়ন করতে হয়, তাহলে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল সমস্যা হচ্ছে সেখানকার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও বাইরের রাজনীতির হস্তক্ষেপ। এটা থাকলে কখনোই সৃজনশীল কোনো কাজ করা সম্ভব হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়কে বাইরের রাজনীতির হস্তক্ষেপ মুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা- কর্মচারী সবাইকেই সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলেই কেবল বঙ্গবন্ধুর ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে।  

এ সময় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।    

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. ওমর ফারুক, ইউজিসির পরিচালক মো. কামাল হোসেন, যবিপ্রবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও এপিএ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।  

আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক মাকসুদুর রহমান ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল মিয়া, উপ-সচিব শাহিন সিরাজ, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ যবিপ্রবির সকল ডিন, চেয়ারম্যান এবং দপ্তর প্রধানরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।